সর্বশেষ :

তীব্র গরমে সড়কে স্যালাইন-পানি হাতে মুরাদনগর উপজেলা চেয়ারম্যান কিশোর


শাহ সাহিদ উদ্দিন ,কুমিল্লা:
প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৫, ২০২৪ । ৫:৪০ অপরাহ্ণ
তীব্র গরমে সড়কে স্যালাইন-পানি হাতে মুরাদনগর উপজেলা চেয়ারম্যান কিশোর
সারা দেশের মতো কুমিল্লার মুরাদনগরে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষের জীবন। এরমধ্যে দিনমজুর, শ্রমজীবী মানুষ ও রিকশাচালকদের ভোগান্তি চরমে। সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে মুরাদনগর উপজেলার মুরাদনগর ও বাঙ্গরা থানা এলাকার
কয়েকটি পয়েন্টে সুপেয় পানির জন্য ফিল্টার স্থাপন করেছে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডক্টর আহসানুল আলম সরকার কিশোর। পাশাপাশি দ্বিতীয় দিনের মতো রিকশাচালকদের মাঝে স্যালাইন, ঠান্ডা পানি ও কোমলজাত পানীয় বিতরণ করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা ও মুরাদনগর থানা এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন উপজেলা চেয়ারম্যান। এর আগে গত সোমবার (২২ এপ্রিল) রিকশা ও ভ্যান চালকদের মাঝে আইসক্রিম বিতরণ করেন তার বাবা ,
এ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম সরকার। তীব্র গরমে এমন উপহার পেয়ে খুশি রিকশাচালক ও শ্রমজীবী মানুষ। তারা বলছেন, ‘গরম কমানো তো আমাদের হাতে নেই, তবে এ গরমে একটু ঠান্ডা পানি ও স্যালাইন খেতে পেরেছি, খুব ভালো লাগছে।’
জব্বার মিয়া নামে একজন রিকশা চালক বলেন, ‘আমাদের উপজেলা চেয়ারম্যান কিশোর সাহেব সবসময় আমাদের কথা চিন্তা করেন। এ গরমে গাড়ি চালানো খুব কষ্টকর। এরমধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান স্যালাইন পানি হাতে আমাদের জন্য দাঁড়িয়ে আছেন, একটু ঠান্ডা খেতে পেরেছি। গরম কিছুটা হলেও লাগব হয়েছে।’
রবিউল হক নামে একজন ভ্যান চালক বলেন, ‘এ গরমে এমনিতেই আমাদের আয় রোজগার কম। তাও পরিবারের চিন্তা করে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি। এরমধ্যে রাস্তায় কিশোর মহোদয় কোক, পানি ও স্যালাইন দিয়েছে। এটি পেয়ে খুব ভালো লাগছে।’
উপজেলা চেয়ারম্যানের এমন উদ্যোগ স্বাগত জানিয়েছেন মুরাদনগরের সচেতন মহল। কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ তানভীর আহমেদ ফয়সাল বলেন, এটি অসাধারণ উদ্যোগ।
সমাজে অনেক বিত্তশালী রয়েছে। সকলে আমাদের উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়ের  মতো নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসলে এ গরমে শ্রমজীবী মানুষরা কিছুটা স্বস্তিতে থাকতে পারবে।’
উপজেলা চেয়ারম্যান কিশোরের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, উপজেলার দোয়েল চত্বর, কোম্পানীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড ও কাজিয়াতল সুপার মার্কেট এলাকায় ৫০০ লিটার ট্যাংকের মাধ্যমে পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতিটি পয়েন্টে একজন করে নিজস্ব
স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়াও প্রথম দিন উপজেলায় চলাচলরত ৫০০ রিকশা চালকদের মাঝে আইসক্রিম বিতরণ করা হয়েছে এবং দ্বিতীয় দিনও ৫ শতাধিক রিকশাচালকদের মাঝে পানি, স্যালাইন ও কোমলজাত পানীয় এবং শরবত বিতরণ করা হয়েছে।
এমন কার্যক্রমের বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ডক্টর কিশোর সরকার বলেন, সারা দেশের ন্যায় মুরাদনগরেও তীব্র গরমে কাবু সব পেশার মানুষ। বিশেষ করে রিকশা চালক ও পথচারীরা কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। তাদের কথা চিন্তা করে শহরের জনগুরুত্বপূর্ণ চারটি স্থানে সুপেয় ঠান্ডা পানি ও শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রিকশা চালকরা রোদের মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। চালকদের দোকান থেকে ঠান্ডা পানি কিনে খাওয়ার সামর্থ্য থাকে না। তাদের ঠান্ডা পানি, স্যালাইন ও কোক দেয়া হয়েছে। যত দিন তাপপ্রবাহ থাকবে, ততদিন এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, ‘মুরাদনগরর অনেক বিত্তশালী রয়েছেন। আমাদের কর্মকাণ্ড দেখে আশপাশের সামর্থ্যবানরা এগিয়ে আসলে নিম্নআয়ের মানুষদের কষ্ট কিছুটা লাগব হবে।’

পুরোনো সংখ্যা

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০