সর্বশেষ :

ইফতারে যে কারণে খেজুর দরকার


অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময় : মার্চ ১২, ২০২৪ । ১২:২১ অপরাহ্ণ
ইফতারে যে কারণে খেজুর দরকার

রোজায় ইফতারিতে অন্যতম একটি খাবার খেজুর। সারাবিশ্বে ইফতারির তালিকায় পছন্দের শীর্ষে আরব ভূমিতে উৎপন্ন ফলটি। সম্প্রতি একজন মন্ত্রী ইফতারে খেজুরের পরিবর্তে বড়ই খেতে বললে দেশজুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। যদিও মন্ত্রী পরে বলেছেন, তিনি খেজুর নিয়ে কিছু বলেননি।

ইফতারে আলোচিত এই খেজুর খাওয়ার পেছনে রয়েছে অনেক কারণ। অন্যান্য ফলের চেয়ে খেজুরে পুষ্টিগুণ অনেক বেশি এবং রোজাদারদের জন্য খুব স্বাস্থ্যসম্মত ও উপকারী হওয়ায় এর বিকল্প নেই ইফতারে।

ইফতারে খেজুর কেন?

প্রাকৃতিক মিষ্টি: খেজুরে রয়েছে প্রাকৃতিক মিষ্টি। বিশেষ করে এর গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজ দ্রুত রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। তাই সারা দিন রোজা রাখার পর খেজুর খেলে শরীর দ্রুত সতেজ হয়।

ভরপুর পুষ্টি: খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিনের মতো অতি প্রয়োজনীয় কিছু পুষ্টি উপাদান। এসব পুষ্টি উপাদান শরীরের ক্ষয় পূরণ করে।

হাইড্রেশন: খেজুরে প্রচুর পানি থাকে বলে রোজায় সারা দিন পানি না খাওয়ার ফলে শরীরে যে ঘাটতি হয়, তা পূরণ করে ফলটি। শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে এবং রোজার সময় পানিশূন্যতা রোধ করে খেজুর।

সহজপাচ্যতা: খেজুরে থাকা চিনি সহজে পরিপাকযোগ্য। সারা দিন রোজা রাখার পর খালি পেটে খেজুর খেলে পরিপাক সহজ হয়। পাকস্থলীতেও কোনো চাপ তৈরি করে না। এ ছাড়া খেজুরে যে আঁশ থাকে, তা পরিপাক ক্ষমতা বাড়ায়, দূর করে কোষ্টকাঠিন্য।

কোষের সুরক্ষা ও প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্য: খেজুরে রয়েছে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট বা জারণরোধী এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বা প্রদাহরোধী উপাদান। এই উপদান শরীরের কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং প্রদাহ কমায়।

দীর্ঘমেয়াদি শক্তির উৎস: খেজুর খেলে রক্তে চিনির মাত্রার হঠাৎ হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে না। এর ফলে শরীরে দীর্ঘমেয়াদি শক্তি পাওয়া যায়, যা পরবর্তী সময়ে কাজে লাগে।

ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় তাৎপর্য: মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর সময় থেকেই খেজুর দিয়ে ইফতার করার প্রচলন রয়েছে। হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিজে খেজুর ও পানি খেয়ে ইফতার করতেন।

এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ রোজা রাখলে খেজুর দিয়ে যেন ইফতার করে, খেজুর না হলে পানি দিয়ে; নিশ্চয়ই পানি পবিত্র।’ (সূত্র: তিরমিজি ও আবু দাউদ; আলফিয়্যাতুল হাদিস: ৫৬২, পৃষ্ঠা: ১৩১-১৩২)

 

সূত্র : ঢা/টা

পুরোনো সংখ্যা

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১