সর্বশেষ :

ঝিনাইদহ হরিণাকুন্ডু উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নে কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজের অনিয়ম 


মোঃ আনোয়ার হোসেন ,ঝিনাইদহ :
প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৯, ২০২৪ । ৭:৫০ অপরাহ্ণ
ঝিনাইদহ হরিণাকুন্ডু উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নে কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজের অনিয়ম 
ঝিনাইদহ হরিণাকুন্ডু উপজেলার ৪নং দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী (ইজিপিপি) প্রকল্পের আওতায় কর্মসৃজন কাজের ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে এবং চাহিদা মোতাবেক শ্রমিক পাওয়া যায়নি ।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের অতিদরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসৃজন (ইজিপিপি) প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে।
১নং প্রকল্পের ১নং ওয়ার্ডের ফতেপুর মতিয়ার এর বাড়ি হইতে মানোয়ার মাষ্টার এর বাড়ি ও জুলহক মোল্লার জমি হইতে ঝগড়া ভাগাড়  পর্যন্ত রাস্তা দ্বারা উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন ২৩জন শ্রমিকের স্থলে ১৮ জন, সর্দার সোহাগ জানান আমরা
১৫ তারিখ থেকে এখানে ২৩ শ্রমিক কাজ করছি আজ কয়েকজন কম আছে। ২য় প্রকল্পের ২নং ওয়ার্ডের পারদখলপুর আনছার এর বাড়ি হইতে দখলপুর বাজার অভিমুখে রাস্তা মাটি দ্বারা উন্নয়ন কাজ করছেন ২৬ জন শ্রমিক,
সর্দার ফুলছদ্দি বলেন এখানে ৩৩ জন শ্রমিক থাকার কথা আছে ২৬ জন। ৩ং প্রকল্পের ৯নং ওয়ার্ডের হিংগারপাড়া নতুন ব্রীজ হইতে চরের মাঠের অভিমুখে রাস্তা মাটি দ্বারা 
উন্নয়নে কাজ করছেন ১৮জন,সর্দার আলমগীর হোসেন টেংরা কাজের সাইডে না থাকায় উপস্থিত সবাই বলেন আমরা ১৫ তারিখ হতে এখানে ২৫জন কাজ করছি আর লোক আশপাশেই আছে। তিনটি স্থানে যেখানে মোট শ্রমিক থাকার কথা ২শত ৩৭ জন সেখানে উপস্থিত পাওয়া গেল মাত্র ৬২ জন।
বিধিমালা অনুযায়ী প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার ব্যতীত কাজ হবার কথা সেই অনুযায়ী গত ১৫-৪-২০২৪ ইং তারিখ হতে কাজ শুরু হয়েছে, এবার অবশ্য ৪০ দিনের স্থলে ৩৩দিন কাজ চলবে। প্রতি কার্যদিবসে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কাজ করার কথা থাকলেও প্রচন্ড তাপদাহের কারনে শ্রমিকরা একটু আগেই বাড়ি ফিরে যান।
এ প্রকল্পের প্রত্যেক শ্রমিককে প্রতিদিন কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক হিসেবে ৪শত টাকা তার মোবাইল সিমে পাওয়ার কথা এবং তারা তাদের নিজেদের মোবাইল একাউন্টের মাধ্যমে তুলতে পারবেন। উল্লেখ্য প্রকল্পের কোন সাইডে কোন সাইনবোর্ড পাওয়া যায়নি। সাইনবোর্ডে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া থাকে,
যাতে শ্রমিকরা তাদের সঠিক মূল্য বুঝে নিতে পারে। সাইনবোর্ড না থাকায় শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী জানান লোকজন
বেশি আসে না যা দেখছেন শুরু থেকে এই কয়জন লোকই মাটি কাটছে। শ্রমিক সংখ্যা কম থাকার বিষয়ে ৪নং দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের নিকট মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন ধানকাটা শুরু হয়েছে তাই শ্রমিক কম আছে।
এই প্রসঙ্গে হরিণাকুন্ডু উপজেলা প্রকল্প অফিসের উপ-প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান বলেন আমরা শ্রমিক সংখ্যা কম রেখেই বিল করবো তবে আমি দুদিন গিয়েছিলাম তখন শ্রমিক বেশি ছিল।হরিণাকুন্ডু  উপজেলার প্রকপ্ল কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন- যারা প্রতিদিন  কাজ করবে তারাই টাকা পাবে।
অনুপস্থিত থাকা কোন শ্রমিক টাকা পাবে না। প্রকপ্ল বাবদ ৩১ লক্ষ ২৮ হাজার ৪০০ টাকা বরাদ্দ হলেও বাকি টাকা ফেরত যাবে।এ ব্যাপারে পি আই সি হাজিরা দেবে এবং ট্যাগ অফিসারও সংশ্লিষ্ট থাকবে ।প্রকপ্ল অফিস থেকে জানা গেছে ২০ দিনের কাজ শেষ হলে
প্রথম ধাপের বিল দেওয়া হবে। প্রকৃতপক্ষেই যে শ্রমিকরা কাজ করছে কি করছে না এবং সকল শ্রমিকের বিল দেওয়া হবে কি হবে না সেই জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে এই ইউনিয়নের এই প্রকল্পের প্রথম বিলবরাদ্দ পাস হওয়া পর্যন্ত।

পুরোনো সংখ্যা

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০