বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে সম্ভাব্য মার্কিন নিষেধাজ্ঞার শঙ্কায়। সম্প্রতি একটি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের এলসিতে নতুন শর্ত যুক্ত করা হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ যদি কোনো নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে, তাহলে তারা পণ্য নেবে না।
পোশাক শিল্পের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, এটি একটি উদ্বেগজনক বিষয়। তিনি বলেন, “এটা আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ আমাদের পোশাক রপ্তানির একটি বড় অংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়।”
ফারুক হাসান বলেন, নতুন শর্তের কারণে ব্যাংক ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি খুলতে চাইবে না। এতে রপ্তানি আয়ের অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে।
তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি, বাংলাদেশ সরকার এই বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করবে।”
বিজিএমইএর বুধবারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একটি নির্দিষ্ট ক্রেতার কাছ থেকে আসা ঋণপত্রে সম্ভাব্য মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয় উল্লেখ করে নতুন শর্ত জুড়ে দেওয়ায় উদ্বেগ ও বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রতিটি স্বতন্ত্র ক্রেতা বা সত্তার নিজস্ব অভ্যন্তরীণ নীতি এবং প্রটোকল থাকতে পারে। তবে একটি এলসি কপি বা ব্যক্তিগত বাণিজ্যিক উপকরণ অফিশিয়াল কোনো ঘোষণা নয়।
বিজিএমইএ বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন থেকে বা অন্য কোনো উৎস থেকে নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে তথ্য পায়নি বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
দৈ/যু
আপনার মতামত লিখুন :