সর্বশেষ :

শিশু কন্যাসহ গৃহবধূকে যৌতুকের দাবিতে বাড়ি থেকে বের করে দিলেন স্বামী ও শ্বশুর


জুয়েল রানা. কুষ্টিয়া: 
প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৪, ২০২৪ । ৪:০১ অপরাহ্ণ
শিশু কন্যাসহ গৃহবধূকে যৌতুকের দাবিতে বাড়ি থেকে বের করে দিলেন স্বামী ও শ্বশুর
যৌতুকের দাবিতে শিশু কন্যাসহ গৃহবধূকে রাতে বাড়ি থেকে বের করে দিলেন স্বামী শ্বশুর কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে গৃহবধূকে মারধর করে গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় বুধবার সকালে মারধরের শিকার ওই নারী কুমারখালী থানায় যৌতুক ও মারধর উল্লেখ করে তাঁর স্বামী, শ্বশুর ও ননদেরসহ অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ওই নারীর নাম মিতা খাতুন। তাঁর বাবার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার ছেঁউড়িয়া মন্ডলপাড়া গ্রামে। মিতা খাতুনের ভাষ্য, প্রায় বিশ বছর আগে উপজেলার ছেঁউড়িয়া মন্ডলপাড়া গ্রামের মোকাদ্দেস হোসেনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তাঁর স্বামীকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার দেওয়া হয়।
বিয়ের ৪-৫ বছর পর থেকে যৌতুকের জন্য তাঁকে ফের চাপ দিতে থাকেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন। যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁর স্বামী, শ্বশুর ও ননদেরা প্রায়ই তাঁকে মারধর করতেন।
অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে তাঁকে শারীরিক নির্যাতনও করা হতো। তাঁদের সংসারে ১১ বছরের এক কন্যা সন্তান আছে। মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে এত দিন তিনি সব মুখ বুজে সহ্য করতেন। এখন তাঁর সহ্য সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
অভিযোগ ও পরিবার সূত্র জানায়, ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে মিতার কাছে যৌতুকের টাকা দাবি করেন তাঁর স্বামী মোকাদ্দেস হোসেন। মায়ের বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁকে স্বামী, শ্বশুর ও ননদরা মিলে লাঠি দিয়ে বেদম মারধর করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে তালাক দেওয়ার হুমকি দিয়ে মোকাদ্দেস ও তাঁর পরিবারের লোকজন মিতাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
নিরুপায় হয়ে তিনি মায়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। মিতার মা বলেন, ‘যৌতুকের টাকার জন্য মেয়েটাকে প্রতিনিয়ত মারধর করা হয়। বিয়ের সময় টাকা দিয়েছি। এখন আরও টাকার জন্য মেয়েকে মারধর করা হয়েছে। অসুস্থ অবস্থায় মেয়েটাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে মোকাদ্দেস ও তার পরিবার।’
এ বিষয়ে মিতা বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আমাকে মারধর করত তারা। শ্বশুর-শাশুড়ির কথা মতো স্বামী যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করত। আমাদের এক মেয়ে আছে।
মেয়ের কথা চিন্তা করে অনেক নির্যাতন সহ্য করেছি। আমি এখন এর উপযুক্ত বিচার চাই। অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য মোকাদ্দেসের মুঠোফোনে কল করা হলে তাঁর নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
এবিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকিবুল ইসলাম বলেন বিষটি আমি রাতে জানতে পেরেছি থানায় অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্হা গ্রহন করা হবে।

পুরোনো সংখ্যা

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০