সর্বশেষ :

তীব্র রোদে মাঠে টিকতে পারছেন না কৃষক ও দিনমজুরা


দিনাজপুর,প্রতিনিধি;
প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৪, ২০২৪ । ১:৩৭ অপরাহ্ণ
তীব্র রোদে মাঠে টিকতে পারছেন না কৃষক ও দিনমজুরা
সারাদেশে বইছে মাঝারি তাপপ্রবাহ। এতে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। সকালে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র রোদের দেখা মিলছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এ রোদ যেন আগুনের ফুলকি হয়ে ঝরছে।
বিশেষ করে দুপুরের পর আগুন ঝরা রোদের তেজে বাইরে বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়ছে। সূর্য একেবারে ডুবে যাবার আগ পর্যন্ত এ অবস্থা বিরাজ করছে। চলমান তাপপ্রবাহে সবচেয়ে কষ্টে পড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালক ও কৃষকেরা। তীব্র রোদে মাঠে টিকতে পারছেন না কৃষক ও দিনমজুরা।
 বুধবার  (২৪ এপ্রিল) দিনাজপুরে দুপুর ১টায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। দুপুর ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
তবে রাতের চিত্র ভিন্ন দেখা গেছে উত্তরের জেলা দিনাজপুরের খানসামা উপজেলাসহ আশে পাশের এলাকা। এ অঞ্চলে রাত নামলেই মৃদু ঠান্ডা হিমেল হাওয়া বয়ে যায়। বিশেষ করে রাত দুইটার পর কাঁথা নিয়ে ঘুমায় অনেকে। এ এলাকার মানুষের আরেকটি অন্যতম অভ্যাস হল ফ্যান চালিয়ে গায়ে কাঁথা নেওয়া।
রাতে কাঁথা গায়ে নিয়ে শুয়ে থাকার কথা স্বীকার করে সোলজার রহমান কালবেলাকে বলেন, কথাটি হাস্যকর হলেও সত্য। দিনে প্রচুর দাবদাহ থাকলেও রাতে খুব একটা গরম লাগে না। তাই কাঁথা গায়ে নিয়ে ঘুমাই।
চাটাল ব্যবসায়ী রশিদুল বলেন,যে রোদ বাহে রোদের জ্বালায় ভুট্টায় পা দিতে পারছি না। শরীর জুড়ে ঘাম আর থামে না।রোদের মধ্যে পা দিতেও সমস্যা।
আক্তারুল নামে এক যুবক  বলেন, মুই তো ম‌নে করো, মোর ম‌নে ম‌নে জ্বর যা‌ছে। কিন্তু নাহায়, রাইতোত ঠিকে সবাখে ঠাণ্ডা নাগে।
রতন নামে এক শিক্ষক বলেন , আমরা উত্তরবঙ্গের মানুষ সবার আগে শীত পাই যেমন গ্রীষ্মও আগে পাই। দিনে তাপমাত্রা থাকলেও রাতে ঠিকই কাঁথা নিয়ে ঘুমাতে হয়।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.তোফাজ্জল হোসন বলেন, জেলায় দিনে তাপপ্রবাহ চললেও রাতে শীতল। আগামী দুই তিন দুনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

পুরোনো সংখ্যা

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০