সর্বশেষ :

দিনাজপুরে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা


অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময় : মার্চ ২৯, ২০২৪ । ৪:২৬ অপরাহ্ণ
দিনাজপুরে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

দিনাজপুর জেলার ১৩ টি উপজেলায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা। সেখানে চলতি মৌসুমে অতিরিক্ত ১ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে।

দিনাজপুর কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান মিয়া বলেন, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে জেলায় এক লাখ ৭২ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

অনুকুল আবহাওয়া ও কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় এবার লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত ১ হাজার ৮৫০ হেক্টর  জমিতে ইরি-বোরো চাষ হয়েছে।

তার ভাষ্যমতে, এবার জেলায় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ৮ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা  নির্ধারণ করা হয়েছে। সারা দেশে ধান-চালসহ বিভিন্ন খাদ্য উৎপাদনের উদ্বৃত্ত জেলা হিসাবে দিনাজপুর খ্যাতি রয়েছে।

জেলার মাঠ গুলো এখন সবুজের আভায় এক অপরূপ শোভা ছড়াচ্ছে। বোরো ধানের শিষ দোল খাচ্ছে বাতাসে। সেচসহ আগাছা পরিষ্কারে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছর ইরি-বোরো মৌসুমে ১৫ মার্চ পর্যন্ত এই জেলায় বোরো ধান লাগানো সম্পন্ন করেছে কৃষকেরা। এখন সেচ ও ধান খেত পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত রয়েছে তারা।

কৃষি বিভাগ জেলায় ৯০ ভাগ জমিতে বিদ্যুৎ চালিত মোটরের আওতায় সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে শেষ ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। প্রতিদিন রাত ৮ টা থেকে ভোর পর্যন্ত সেচযন্ত্র চালানোর জন্য এ সময় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। ফলে জমিতে পানির কোন সংকট হচ্ছে না।

দিনাজপুর সদর উপজেলার শেখপুরা গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, বিদ্যুৎ চালিত সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে পানি সরবরাহ পাওয়ায় তাদের ইরি বোরো ধান চাষে খুব সুবিধা হয়েছে। বিঘা বা একর প্রতি ধানের জমিতে সেচ দেয়ার জন্য সেচ যন্ত্রের মালিকের সাথে চুক্তি রয়েছে।

জমির মালিকদের সেচ নেয়ার জন্য ঘুরতে হয় না। সেচ যন্ত্রের মালিকেরা নিজেরাই ধানের জমিতে প্রয়োজন অনুযায়ী পানি সেচ দিয়ে থাকেন।

চুক্তির অর্ধেক টাকা দিয়ে বাকি টাকা ধান কাটার পর পরিশোধ করেন। একই কথা জানালেন, বিরল উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের কৃষক ধীরেন চন্দ্রদাস ও রবিউল ইসলাম। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় তারা এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, পুরো জেলায় এবার উন্নত ধানের জাত ব্রি ২৩, ২৯, ১০২, ৮৯, ৯২, ও ব্রি ১০৪ চিকন জাতের ধান বেশি চাষ হয়েছে। এছাড়াও মোটা ধানের জাত ব্রি টিয়া, ময়না ও সিনজেনটা- ব্রি  ১২০৫ জাতের ধান চাষ করা হয়েছে।

অধিদপ্তর জানায়, এখনো পর্যন্ত জেলার ১৩ টি উপজেলার কোন স্থান থেকেই ইরি বোরো ধান চাষে কোন সমস্যার খবর তাদের কাছে আসেনি।

 

সুত্রঃ বাসস

পুরোনো সংখ্যা

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১