তাড়াইলের বোরো ধানের ক্ষেতগুলো সবুজের সমারোহে ঘেরা


রুহুল আমিন, তাড়াইল:
প্রকাশের সময় : মার্চ ২৯, ২০২৪ । ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
তাড়াইলের বোরো ধানের ক্ষেতগুলো সবুজের সমারোহে ঘেরা
যতদূর দৃষ্টি যায় শুধু সবুজ আর সবুজ চোখে পড়ছে। ফাঁকা নেই যেন ফসলের মাঠ। রোদ-বৃষ্টির খেলায় সবুজের আভা ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে। নীল আকাশের সাদা মেঘের ভেলা,
যেন সবুজের গাঢ় রঙ্গে একাকার হয়ে আছে। গরম আর হাল্কা হাওয়ায় আপন মনে দোল খাচ্ছে বোরো ক্ষেত। বোরো ক্ষেতে সবুজের ঢেউ খেলানো এমন দৃশ্য চোখে পড়ছে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার সর্বত্রই।

এদিকে কৃষকদের স্বপ্ন পূরণে ক্ষুধা মুক্ত, খাদ্যে স্বনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকারও। সেই সঙ্গে কৃষি বিভাগের আন্তরিকতায় কৃষিতে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া।

সেই সঙ্গে জমিতে ফলন ভালো ফলাতে নিয়মিত তারা তদারকি করছেন। চলতি মৌসুমে এ উপজেলার কৃষকরা রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে হাল চাষ, সেচ পানি দিয়ে বোরো আবাদ করছেন।
আর কৃষকের আগামীর সোনালী স্বপ্ন যেন লুকিয়ে আছে সবুজ ধান ক্ষেতের মাঝে। এর মধ্যে এ ধানের ক্ষেতকে ঘিরে স্থানীয় কৃষকরা যেন স্বপ্নের জাল বুনতে শুরু করেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১০ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ মৌসুমে প্রতি হেক্টরে পাঁচ থেকে ছয় টন ফলন পাওয়ার আশা করছেন সংশ্নিষ্টরা।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) সরজমিন দেখা যায়, উপজেলার তালজাঙ্গা, রাউতি, ধলা, জাওয়ার, দামিহা, দিগদাইড় ও তাড়াইল-সাচাইল সদর ইউনিয়নের মাঠে মাঠে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বোরো ক্ষেতগুলো সবুজে সমারোহ হয়ে আছে।
সবুজে ঘেরা বোরোর মাঠে কৃষক ব্যস্ত সময় পার করছেন। শেষ পযর্ন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ মৌসুমে বোরোর ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত বোরো মৌসুমে উন্নত প্রযুক্তির বীজ আর সেচ সুবিধা ভালো থাকায় ধান আবাদে তাদের ফলন ভালো হওয়ায় এবার বোরোতে তাদের উৎসাহ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। বোরো ধান রোপণের পর জমিতে ভালো পরিচর্যা নেয়ায় মাঠের অবস্থা খুবই ভালো।
এখন পর্যন্ত যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে তাতে স্থানীয় কৃষকরা বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন। রোগ বালায়ের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে কৃষকদেরকে ধান জমিতে কঞ্চি ও গাছের ডাল পুঁতে পাখি দিয়ে পোকা মাকড় দমনে তারা উৎসাহিত করছেন।
তাড়াইল-সাচাইল সদর ইউনিয়নের কালনা গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, এ মৌসুমে ৪ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপণ করা হয়েছে।
সময় মতো সার দেওয়াসহ সঠিক ভাবে জমির পরিচর্যা করায় এখন ধান গাছের অবস্থা খুবই ভালো। জমির যে অবস্থা বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তিনি। অপর কৃষক ফজলুর রহমান বলেন,
কৃষি অফিসের পরামর্শে এ মৌসুমে ৬ বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছি। এক বিঘা জমি আবাদ করতে শ্রমিক মজুরি, সারসহ অন্যান্য খরচ হয়েছে প্রায় ৮ হাজার টাকা।
বর্তমানে আমার বোরো জমিগুলো সবুজে ভরে গেছে। কিছুদিনের মধ্যে ধানের শীষ বের হবে। নিয়মিত জমির পরিচর্যা করা হচ্ছে। আশা করি গত বছরের চাইতে এবার ভালো ফসল ঘরে তুলতে পারবো।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুমন কুমার সাহা বলেন, বর্তমানে বোরো ধানের ক্ষেতগুলো সবুজের সমারোহে ঘেরা।

আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছি। জমিতে ফলন ভালো করতে সার্বিকভাবে স্থানীয় কৃষকদেরকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করা যায়।

পুরোনো সংখ্যা

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১