পিরোজপুরে ঈদ-উল ফিতরে ৩ লক্ষ দরিদ্র মানুষ পাচ্ছে ৯০৯ মেট্রিক টন চাল


অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময় : মার্চ ২৮, ২০২৪ । ১:২৪ অপরাহ্ণ
পিরোজপুরে ঈদ-উল ফিতরে ৩ লক্ষ দরিদ্র মানুষ পাচ্ছে ৯০৯ মেট্রিক টন চাল

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনণালয়ের দুর্যাগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর পিরোজপুরে পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ১৫০ জন দরিদ্র মানুষের এর অনুকূলে ৯০৯ মেঃ টন ৫৩ কেজি চাল বরাদ্দ করেছে। ৯০ হাজার ৯০৩ টি ভিজিএফ কার্ডের প্রতিটির বিপরীতে ১০ কেজি করে চাল প্রদান করা হবে।

পিরোজপুর জেলার ৪টি পৌরসভা পিরোজপুর, মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া এবং স্বরূপকাঠীতে ১৫ হাজার ৪শত ৩টি ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে ১ শত ৫৪ মেঃ টন চাল বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে নব গঠিত ভান্ডারিয়া পৌরসভার অনুকূলে ১ হাজার ৫ শত ৪০টি ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে ১৫ মেঃটন ৪০ কেজি চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।

এছাড়া অন্য ৩টি পৌরসভার প্রতিটির অনুকূলে ৪ হাজার ৬শত ২১টি কার্ডের বিপরীতে ৪৬ হাজার ২১০ মেঃ টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। পিরোজপুর সদর উপজেলার ৮ হাজার ৮১৬ টি কার্ডের জন্য ৮৮ মে:টন ১৬০ কেজি, ভান্ডারিয়া উপজেলার ১০ হাজার ৭ টি জন্য ১০০ মেঃ টন ৭০ কেজি,

ইন্দুরকানী উপজেলার ৬ হাজার ৯ শত ৯২ টির জন্য ৬৯ মেঃটন ৯২০ কেজি, মঠবাড়িয়া উপজেলার ১৬ হাজার ৮ শত ৬ টির জন্য ১৬৮ মেঃটন ৬০ কেজি, কাউখালী উপজেলার ১০ হাজার ২ শত ১৭ টির জন্য ১০২ মেঃ টন ১০৭ কেজি,

নাজিরপুর উপজেলার ১১ হাজার ১ শত ৮৮ টির জন্য ১১১ মেঃ টন ৮৮০ কেজি এবং নেছারাবাদ উপজেলার ১১ হাজার ৫ শত ২৪টি কার্ডের জন্য ১১৫ মেঃটন ২৪০ কেজি চালের বরাদ্দপত্র জেলা প্রশাসকের বরাবরে এসেছে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং প্রতিটি ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাক অফিসার এ চাল বিতরণ তদারকি করবেন।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান ,মানবিক সহায়তা কর্মসূচি ২০২৩-২৪ এর আওতায় এ বছর ভিজিএফ এর অধীন ত্রাণ কার্যক্রমে পিরোজপুর জেলার ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ১৫০ জন দরিদ্র লোকের মধ্যে ৯০৯.৫৩ মে:টন চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের ইতোমধ্যেই নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

আগামী ৩ এপ্রিলের পূর্বেই সকল ভিজিএফ কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে এ চাল বিতরণ কার্যক্রম শেষ করা হবে। চাল বিতরণে কোন ধরনের অনিয়ম এর অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর উপকারভোগী বাছাইয়ের নীতিমালায় রয়েছে যে পরিবারের প্রধান অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, যে পরিবারে অস্বচ্ছল ও অক্ষম প্রতিবন্ধী,

যে পরিবারের প্রধান স্বামী পরিত্যক্তা বিচ্ছিন্ন বা তালাকপ্রাপ্ত মহিলা, যে পরিবারে উপার্জনক্ষম কোন ব্যক্তি নেই, যে পরিবারে মহিলা শ্রমিকের আয়ের উপর নির্ভর করতে হয়, যে পরিবারের মালিকানায় কোন জমি নেই সেইসব পরিবারকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

 

সুত্রঃ বাসস

পুরোনো সংখ্যা

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১