সর্বশেষ :

পটুয়াখালী স্বামীকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা


মোঃ আরাফাত তালুকদার ,পটুয়াখালী:
প্রকাশের সময় : মার্চ ২৮, ২০২৪ । ৪:১৫ অপরাহ্ণ
পটুয়াখালী স্বামীকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা
পটুয়াখালীতে পরকীয়ার জেরে প্রেমিক আবু জাফর মোল্লাকে (৬৫) হত্যার জট খুলেছে। নিষেধ করার পরও কথা না শোনায় স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে জাফরকে হত্যা করেন রুনা বেগম। এ ঘটনায় প্রেমিকা রুনা বেগম (৪০) ও তার স্বামী ফয়জর মোল্লা ওরফে হুমায়ুন কবিরকে (৫০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জাফরকে মারধরের সিদ্ধান্ত নেন হুমায়ন কবির। এতে স্ত্রী রুনা বেগম প্রথম দিকে রাজি না হলে তাকে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে বশে আনেন। পরিকল্পিত ভাবে, গত ১১ মার্চ সন্ধ্যায় জাফরকে ফোনকলে বাড়ির পেছনে দেখা করতে বলেন রুনা।প্রেমিকার ফোনকলে নির্ধারিত সময়ে দেখা করতে আসেন।
এ সময় জাফর-রুনার মাঝে নানান কথার এক পর্যায়ে রুনা কৌশলে প্রেমিককে মাঠের মাঝে নিয়ে যান। এ সময় হুমায়ন কবির উপস্থিত হয়ে জাফরকে মাটিতে শুয়ে হাতে থাকা দা দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
বুধবার (২৭ মার্চ) রাত ৯টার দিকে পটুয়াখালী সদর থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এর আগে ভোরে সদর উপজেলার জৈনকাঠি ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আসামিদের আদালতে সোপার্দ করা হলে তারা বিচারকের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।ওসি মো. জসিম বলেন, গত ১২ মার্চ কেশবপুর গ্রামে একটি মাঠের মধ্যে আবু জাফর মোল্লা (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃতদেহ পাওয়া যায়।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলে আত্মীয়-স্বজন প্রাথমিকভাবে ধারণা করেন। তবে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ও সার্বিক বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করে বিষয়টিকে হত্যাকাণ্ড বলে সন্দেহ করে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
পরবর্তীতে নিহত আবু জাফর মোল্লার ছেলে কবির মোল্লা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী থানার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ।
প্রযুক্তি ও সোর্সের সহায়তায় মামলার রহস্য উদঘাটন করে বুধবার ভোরে ফয়জর মোল্লা ও রুনা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়।জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন এবং আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আসামিরা জানান, মৃত জাফর মোল্লার সঙ্গে রুনা বেগমের দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের কারণে রুনার পারিবারিক জীবনে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। মৃত জাফর মোল্লাকে রুনার স্বামী ফয়জর মোল্লা বার বার নিষেধ করলেও তিনি সম্পর্ক চালিয়ে যান।
এরপর ১২ মার্চ মাগরিবের নামাজের পরে জাফর মোল্লা রুনা বেগমের ফোনে কল দিয়ে তাকে বাড়ির পিছনে ডাকেন। বাড়ির পিছনে গেলে রুনা তাকে মাঠের মধ্যে নিয়ে যায়। রুনার স্বামী ফয়জর মোল্লা হাতে দা নিয়ে তাদের পিছু পিছু মাঠে যায়। ফয়জরকে দেখে জাফর মোল্লা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
পালানোর চেষ্টার সময় ফয়জর মোল্লা তার গলা চেপে ধরে মাটিতে শুইয়ে ফেলে হাতে থাকা দায়ের উল্টা পিঠ দিয়ে গলায় আঘাত করেন। এ সময়ে রুনা ভিকটিমের দুই হাত চেপে ধরে রাখেন। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পরে তারা মরদেহ ফেলে রেখে বাড়িতে চলে যান।

পুরোনো সংখ্যা

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১