সর্বশেষ :

ঝিনাইদহে জন্মনিয়ন্ত্রণ উপকরণ সরবরাহে ঘাটতি


মোঃ ইব্রাহিম মিয়া ঝিনাইদহ ঃ
প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৪, ২০২৪ । ৪:১৬ অপরাহ্ণ
ঝিনাইদহে জন্মনিয়ন্ত্রণ উপকরণ সরবরাহে ঘাটতি
ঝিনাইদহ জেলার ইউনিয়নে ইউনিয়নে জন্মনিয়ন্ত্রণ উপকরণ সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই এসব উপকরণ না থাকায় পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহনে গ্রামের মানুষের মাঝে অনিহা দেখা দিয়েছে। বাজারেও জন্মনিয়ন্ত্রণ উপকরণের দাম দ্বিগুন হওয়ায় মানুষ ইচ্ছা থাকলেও তা কিনতে পারছেন না।
ঝিনাইদহ পরিবার পরিকল্পনা দপ্তর সুত্রে এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, প্রায় ৬ মাস ধরে জন্ম নিয়ন্ত্রনের অস্থায়ি উপকরণের সরবারাহ আশংখাজনক ভাবে কমে গেছে।
ফলে জেলা ও  উপজেলা পর্যায়ে এর মজুদ খুবই সীমিত পর্যায়ে পৌচেছে। বিশেষ করে দীর্ঘ মেয়াদি পদ্ধতি ইনজেকশন ও চলমান পদ্ধতির উপকরণ কনডম ও মেয়েদের খাবার বড়ির ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে। যার প্রভাবে দরিদ্র শ্রেণীর দম্পতিদের মাঝে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহনে অনিহা সৃষ্টি হয়েছে।
একদিকে তারা পাচ্ছে না সরকারি সরবরাহ, অন্যদিকে বাজার থেকে কিনতে গেলেও দাম চড়া। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, জলোর প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় জন্ম নিয়ন্ত্রনে একজন করে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ও তিনজন করে পরিবার কল্যান সহকারী মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন। তারা সপ্তাহের ৪ দিন বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে দম্পতিদের সাথে কথা বলেন ও জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী বিতারণ করেন।
উপকরণ ঘাটতির কারনে কর্মীরা ব্যবাহারকারী দম্পতিদের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি ঘাটতি পুরণ না হওয়া পর্যন্ত বাজার থেকে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সংগ্রহের জন্য পরপর্শ দিচ্ছেন।
হরিণাকুন্ডু উপজেলার ফলসী ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক পারবতী বালা জানান, তার ইউনিয়নে দুই হাজার ৮৫৭ জন দম্পতি জন্ম নিয়ন্ত্রন পদ্ধতি ব্যবহার করেন। ঘাটতি থাকায় এই মুহুর্তে তাদরকে চাহিদা মোতাবেক সামগ্রী সরবরাহ করতে পারছেন না।
একই কথা জানালেন জোড়াদাহ ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ইমরুল কায়েস। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তানিয়া আক্তার তৃপ্তি জানান,
এই মুহুর্তে উপকরণ সামগ্রীর সল্পতা থাকলেও মানুষ এখন খুবই সচেতন। ঘাটতির সময়কাল ওই সব দম্পত্তি বাইরে থেকে উপকরণ সংগ্রহ করে  পদ্ধতি চলমান রাখবেন বলে তার বিশ্বাস । ঝিনাইদহ জেলা পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের উপ-পরিচালক মোজাম্মেল করিম জানান,
ঘাটতি তৈরী হলেও সেটা সাময়িক। দ্রুততম  সময়ের মধ্যে এই ঘাটতি পুরণ হয়ে যাবে বলে তিনি মনে করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, টেন্ডার জটিলতার কারনে এই ঘাটতির সৃষ্টি হয়েছে। আর সেই ঘাটতি এতই বেশী যে গত ১৫ বছরেও দেখা যায়নি। ফলে এর প্রভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রনকারী দম্পতির মধ্যে অনিহা সৃষ্টি হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা মনে করেন দ্রুত  উপকরনের সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে ব্যবহারকারীর সংখ্যা আশংখাজনকভাবে  কমে মারত্বকভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি হতে পারে।
ঝিনাইদহ জেলার সিভিল সার্জন শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন, এখন মানুষ অনেক সচেতন। তিনি মনে করেন পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের কর্মীরা যদি সঠিকভাবে পদ্ধতি ব্যবহারকারী নিম্ন আয়ের মানুষদের বোঝাতে সক্ষম হন তাহলে এই অবস্থা  থেকে দ্রুত  উত্তরন ঘটবে।

পুরোনো সংখ্যা

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০