জানুয়ারির মধ্যেই শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি, ময়মনসিংহে দশম গ্রেডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “বই পরিমার্জন এবং বাইরের একটি টেন্ডার বাতিল করার কারণে কয়েকটি শ্রেণিতে বই বিতরণে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে ইতোমধ্যে প্রাথমিকের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই মুদ্রণের কাজ চলছে, যা আমরা সার্বক্ষণিক মনিটর করছি। জানুয়ারির মধ্যেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেওয়া হবে।”
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, “শিক্ষিত টিচার নিয়োগ দেওয়া সত্ত্বেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে। এর পেছনে কোভিড পরিস্থিতি, পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন এবং অভিভাবকদের সন্তুষ্টি না হওয়ার মতো বিভিন্ন কারণ জড়িত। অনেক বাচ্চা প্রাথমিক বিদ্যালয় ছেড়ে অন্য প্রতিষ্ঠানে চলে গেছে। আমরা এ সমস্যা সমাধানে কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, “আমরা পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনেছি। এখন ক্লাসে মূল্যায়নের পাশাপাশি চার মাস পরপর পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। এতে অভিভাবকদের প্রত্যাশা পূরণ হবে বলে আশা করছি। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগী করা এবং তাদের শিক্ষার মান উন্নত করা।
এ সময় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির ময়মনসিংহের পরিচালক ফরিদ আহমেদ, উপপরিচালক সাদিয়া উম্মুল বানিন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মিজানুর রহমান খানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় শেষে অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার দশম গ্রেডের কর্মকর্তাদের মৌলিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন।
ভিসি/এসকে
আপনার মতামত লিখুন :