লন্ডনের পার্লি রাজা ও রানিরা প্রায় দেড় শতাব্দী ধরে শহরের ঐতিহ্য বহন করে আসছেন। ১৮৭৫ সালে তাদের এই সাংস্কৃতিক যাত্রা শুরু হলেও, আজও তারা স্থানীয় মানুষের জন্য তহবিল সংগ্রহে নিয়োজিত।
পার্লি রাজা ও রানিরা লন্ডনের বিভিন্ন এলাকার প্রতিনিধিত্ব করেন এবং সমাজের দরিদ্র শ্রেণির জন্য সাহায্য ও সহায়তা প্রদানের কাজ করে থাকেন। তাদের মধ্যে উত্তরসূরি নির্বাচনের প্রথাও রয়েছে, যা রাজপরিবারের মতোই সমাদৃত।
প্রতি বছর একটি বিশেষ দিন তারা ফসল কাটার উৎসব হিসেবে পালন করেন, যখন তারা ঐতিহ্যবাহী নকশা করা পোশাক পরে গান ও নাচের মাধ্যমে আনন্দ উদযাপন করেন। এই উৎসবের কথা বলতে গিয়ে পার্লি রানি ক্যাটি বার্নস জানান, “অনেকেই জানেন না যে, পার্লিরা এখনও আছেন। যখন তারা আমাদের দেখতে এবং আমাদের সম্পর্কে জানতে পারেন, তখন তারা সত্যিই আনন্দিত হন।”
১৮ শতকে নকশাকৃত স্যুট পরা পার্লিরা তখন দরিদ্রদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতেন এবং আজও তা চালিয়ে যাচ্ছেন। ক্লাইভ বেনেট, যিনি দীর্ঘদিন ধরে পার্লি সংস্কৃতি রক্ষার কাজ করছেন, বলেন, “অনেকে মনে করেন এটি একটি গোপন ভাষা, যা পুলিশকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হত।”
বর্তমানে, পার্লিদের সংখ্যা কমে আসলেও, তাদের ঐতিহ্য ধরে রাখার প্রক্রিয়া চলমান। পার্লি রাজা জন ডাওয়েল বলেন, “পার্লি রাজা ও রানি হওয়া লন্ডনের সন্তান হিসেবে আমার গর্বের বিষয়।”
পার্লিদের ভবিষ্যত মূলত তাদের তরুণ সদস্যদের উপর নির্ভর করছে। এভি ওয়ালড্রেন, যিনি পার্লি রানি হতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তার মতে, সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে তরুণদের কাছে পৌছানো জরুরি। তিনি বলেন, “পার্লিরা যদি হারিয়ে যায়, তবে আমার হৃদয় ভেঙে যাবে। তবে আমি আশাবাদী যে, তারা আধুনিক সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঐতিহ্য ধরে রাখবে।”
পার্লি রাজা ও রানিরা লন্ডনের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির অমূল্য রত্ন। তারা তাদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর এবং তাদের এই অদম্য চেষ্টাই লন্ডনের শহরজীবনে এক অনন্য বৈশিষ্ট্য যোগ করেছে।
ভিসি/এসকে
আপনার মতামত লিখুন :