দেশের ১০ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ, জনজীবনে বিপর্যয়

অনলাইন ডেস্ক
জানুয়ারি ১০, ২০২৫ । ২:৫৬ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-

প্রিন্ট/ই-পেপার

দেশের ১০ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। শীতের দাপট, ঘন কুয়াশা এবং সূর্যের অনুপস্থিতিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এসব অঞ্চলের জনজীবন।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলায় শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে।

এদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমে আসে ৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এই মৌসুমের সর্বনিম্ন।

আবহাওয়াবিদ মো. শহীদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের প্রভাব দেশের পশ্চিমাঞ্চলে বিস্তৃত রয়েছে। একই সঙ্গে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে। এর বর্ধিতাংশ বিস্তৃত হয়েছে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত।

তিন দিনের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সারা দেশে শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করবে। কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কিছু অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।

তাপমাত্রা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানো হয়েছে, প্রথম ২৪ ঘণ্টায় রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে, তবে অন্যান্য অঞ্চলে তা অপরিবর্তিত থাকবে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

বর্ধিত পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ সময়ের শেষে দিন ও রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। তবে শৈত্যপ্রবাহের প্রকোপ কিছু এলাকায় অব্যাহত থাকতে পারে।

শীতের এমন পরিস্থিতিতে উত্তরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। বিশেষ করে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা শীতের কষ্টে দিশেহারা। শীত নিবারণের জন্য সরকারি ও বেসরকারি ত্রাণ কার্যক্রম জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।