সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাগডুমুর গ্রামে সরকারি অনুমোদন ছাড়াই “নবজাগরণ বহুমুখী সমবায় সমিতি” নামের একটি প্রতিষ্ঠান চড়া সুদে টাকা লেনদেন, নিম্নমানের পণ্য সরবরাহ এবং বিভিন্ন অসাধু কার্যক্রম পরিচালনা করছে। উক্ত সমিতির কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে ম্যানেজার আলাউদ্দিনসহ সাত সদস্যের একটি কমিটির বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৮ সাল থেকে নবজাগরণ সমবায় সমিতি সরকারি কর, ভ্যাট, ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে অসহায় ও গরিব মানুষকে প্রতিনিয়ত প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
নবজাগরণ বহুমুখী সমবায় সমিতি সাইনবোর্ড ব্যবহার করে এলাকাবাসীর কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ দিয়ে থাকে। পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে নিম্নমানের পণ্য উচ্চমূল্যে বিক্রি করে। নিয়মিত সাপ্তাহিক ও মাসিক কিস্তি আদায়ের নামে সাধারণ মানুষের উপর আর্থিক চাপ সৃষ্টি করা হয়।
সমিতির সভাপতি রেজাউল করিম খোকন জানিয়েছেন, “আমরা এখনো সরকারি অনুমোদন পাইনি। তবে সমাজসেবা দপ্তরে আবেদন করেছি। সমিতির শুরুতে ১০ টাকা সঞ্চয় ধরা হলেও বর্তমানে তা ২০০ টাকা করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, “মানুষ টাকা নিয়ে সময়মতো ফেরত দিতে চায় না, তাই সমিতি পরিচালনায় অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।”
এদিকে, মাদ্রাসার শিক্ষক ও সমিতির সহ-সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, “সমিতি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর নতুন আঙ্গিকে শুরু করেছি, তবে বৈধ লাইসেন্স পেতে এখনো জটিলতার সম্মুখীন।”
এলাকার সচেতন মহল সমিতির কার্যক্রমকে সম্পূর্ণ অবৈধ এবং প্রতারণামূলক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তারা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা মনে করেন, নবজাগরণ বহুমুখী সমবায় সমিতির কার্যক্রম বন্ধ না করা হলে গরিব ও অসহায় মানুষের আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। তারা সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উল্লেখ: নবজাগরণ সমবায় সমিতির অবৈধ কার্যক্রমের বিষয়ে প্রশাসনের পদক্ষেপ না নিলে এলাকার সাধারণ মানুষের দুর্দশা দিন দিন বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
ভিসি/এএস
আপনার মতামত লিখুন :