সর্বশেষ :

ছয় বছরেও শেষ হয়নি দোয়ারাবাজার সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ নির্মাণকাজ


হুমায়ুন, দোয়ারাবাজার
জানুয়ারি ৮, ২০২৫ । ৪:৫২ অপরাহ্ণ
ছয় বছরেও শেষ হয়নি দোয়ারাবাজার সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ নির্মাণকাজ
সংগৃহীত ছবি

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষার প্রথম এবং একমাত্র প্রতিষ্ঠান দোয়ারাবাজার সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্মাণকাজ ছয় বছরেও শেষ হয়নি।

২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে একাডেমিক ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হলেও নির্ধারিত দেড় বছরের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। ধীরগতির কারণে পাঠদান কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের হতাশা এবং ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের টালবাহানার কারণে কাজ এতটা বিলম্বিত হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় পাঁচতলা একাডেমিক কাম চারতলা প্রশাসনিক ভবনসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে ১৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে ছয় বছরেও নির্মাণকাজ শেষ হয়নি এবং এখনো নিশ্চিত নয় কখন এটি সম্পন্ন হবে।

দোয়ারা সদর ইউনিয়নের লামাসানিয়া গ্রামের বাসিন্দা মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী বলেন, “যদি সময়মতো কাজ শেষ হতো, তাহলে চার বছর আগেই শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার সুযোগ পেত। এই বিলম্ব শিক্ষার্থীদের অপূরণীয় ক্ষতি করেছে।”

সুরমা ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আওয়াল বলেন, “একটি প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণে এত সময় লাগলে সেখানে শিক্ষার কার্যক্রম কীভাবে শুরু হবে? এখানে ঠিকাদার এবং প্রশাসনের গাফিলতি স্পষ্ট।”

প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী এ. এস. এম. নাঈম বলেন, “গত জানুয়ারি মাস থেকে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হলেও নির্মাণকাজ অসমাপ্ত থাকায় শ্রেণিকক্ষ সংকট এবং অফিস স্থানান্তর সম্ভব হচ্ছে না। কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছি।”

ঠিকাদার মাহতাবুল হাসান সমুজ নির্মাণকাজের ধীরগতির কারণ হিসেবে জমি-সংক্রান্ত জটিলতার কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, “কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে, এক মাসের মধ্যে সব সম্পন্ন হবে।”

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান বলেন, “আমি সুনামগঞ্জে যোগদানের পর দেড় বছর ধরে কাজ দ্রুত এগিয়েছে। এর আগে বিভিন্ন কারণে কাজ বন্ধ ছিল। এখন এটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্পন্ন করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, আগামী দুই মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে।”

এ অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা এবং অভিভাবকরা দ্রুত কাজ শেষ করে শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গভাবে চালুর দাবি জানিয়েছেন।


ভিসি/এএস


পুরোনো সংখ্যা

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০৩১