সর্বশেষ :

শীতকালীন স্বাস্থ্যরক্ষায় খেজুরের গুড়ের গুণাগুণ


অনলাইন ডেস্ক
জানুয়ারি ৭, ২০২৫ । ১২:২৪ অপরাহ্ণ
শীতকালীন স্বাস্থ্যরক্ষায় খেজুরের গুড়ের গুণাগুণ
সংগৃহীত ছবি

শীতকাল বাঙালির ঘরে ঘরে খেজুরের গুড়ের পিঠা-পায়েসের মৌসুম। এই মিষ্টি খাবার কেবল স্বাদেই নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও দারুণ উপকারী। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেজুরের গুড় শীতের দিনে যেমন গরম আহ্লাদ দেয়, তেমনি বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার জন্য কার্যকর প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবেও পরিচিত।

খেজুরের গুড়ের অসাধারণ উপকারিতা:

  1. অ্যাজমা ও ফুসফুসের যত্নে:
    যারা অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস, কিংবা নিউমোনিয়ায় ভুগছেন, তাদের জন্য খেজুরের গুড় অত্যন্ত উপকারী। এটি ফুসফুস পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
  2. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ:
    খেজুরের গুড়ে থাকা উপাদানগুলো রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
  3. হজমে সহায়তা:
    খাবার হজম করতে খেজুরের গুড়ের জুড়ি মেলা ভার। শীতে বদহজম বা গ্যাসের সমস্যা থাকলে প্রতিদিন অল্প পরিমাণ গুড় খান।
  4. কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়:
    গুড়ে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এটি প্রাকৃতিক পারগেটিভ হিসেবে কাজ করে।
  5. লিভার সুস্থ রাখে:
    গুড়ে থাকা জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম লিভার সুস্থ রাখতে এবং রক্ত পরিশ্রুত করতে সাহায্য করে।
  6. সর্দি-কাশি কমায়:
    ঠান্ডা জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হালকা গরম পানিতে গুড় মিশিয়ে খাওয়া উপকারী।
  7. হিমোগ্লোবিন বাড়ায়:
    গুড়ে থাকা আয়রন ও অন্যান্য খনিজ উপাদান রক্তস্বল্পতা কমায় এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়।
  8. বাতের ব্যথা:
    শীতে তিল ও গুড় দিয়ে তৈরি নাড়ু নিয়মিত খেলে বাতের ব্যথা কমে।
  9. ঋতুস্রাবের ব্যথা:
    তিল বীজের সঙ্গে গুড় খেলে ঋতুস্রাবের ব্যথা কমে এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে।
  10. গ্লুকোজের নিয়ন্ত্রণ:
    গুড় ধীরে রক্তে মিশে, ফলে গ্লুকোজের মাত্রা স্থিতিশীল থাকে। এটি কিডনি ও চোখের উপর চাপ কমায়।

সাবধানতা:

যদিও খেজুরের গুড় অনেক উপকারী, তবে ডায়াবেটিসের রোগীদের এটি এড়িয়ে চলা উচিত। বেশি পরিমাণে খেলে ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকিও রয়েছে।

শীতের মিষ্টি স্বাদে খেজুরের গুড় শুধু মনই ভরায় না, শরীরের জন্যও আনে অফুরন্ত উপকারিতা। তবে সবকিছুতেই পরিমিতি বোধ থাকা জরুরি।


ভিসি/এসকে


পুরোনো সংখ্যা

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০৩১