সর্বশেষ :

“অজানা মহিমায় অনাড়ম্বর জীবন”


অনলাইন ডেস্ক
জানুয়ারি ৭, ২০২৫ । ৩:০৬ অপরাহ্ণ
“অজানা মহিমায় অনাড়ম্বর জীবন”
সংগৃহীত ছবি

বিশ্বে এমন কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা সমাজের কল্যাণে অবদান রেখে যান, অথচ তাঁদের নাম জানে না কেউ। তাঁরা নিজের জীবনে পরিচিতির লোভ থেকে দূরে থেকে, নিঃশব্দে মানুষের জন্য কাজ করে চলেন। যশ ও খ্যাতির মোহ ছাড়াই, তাঁরা নিজেদের জীবনের আনন্দ এবং শান্তি খুঁজে পান সেই কাজে, যা শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। এই ধরনের মানুষ নিজেদের কাজের কৃতিত্ব পৃথিবীর কাছে প্রকাশ না করে, বরং একান্তে আল্লাহর প্রতি আনুগত্যে তা করেন। তাদের জীবনে কোনো বড় ঘোষণা হয় না, কোনো শোকসভা অনুষ্ঠিত হয় না—তারা একান্তে চলে যান, যেন পৃথিবীও জানে না তাদের প্রস্থান।

হাদিসে এমন মানুষদের সম্পর্কে এক মনোজ্ঞ বর্ণনা পাওয়া যায়। হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, “সর্বাধিক ঈর্ষণীয় মুমিন ব্যক্তি সেই ব্যক্তি, যার অবস্থা সহজ, যে ইবাদত করে এবং আল্লাহর দিকে মনোযোগী থাকে, যাঁর নাম পরিচিতি নেই, তাঁর ধৈর্য এবং পরিতৃপ্তি অনেক বড়।” এই প্রকার জীবনযাপন, যদিও অনেকে এটি ত্যাগ করতে পারে, তবুও এর মধ্যেই রয়েছে এক অমুল্য শান্তি এবং প্রশান্তি।

পৃথিবীর অতীন্দ্রিয় জীবনে আমাদের প্রিয় নবী (সা.)-এর জীবন ছিল অনন্য। তিনি নিজে দরিদ্র ছিলেন, কিন্তু এই দরিদ্রতায় কোনো অভাব ছিল না, বরং তিনি সম্পদের প্রতি অমুখাপেক্ষিতা ধারণ করতেন। তাঁর জীবনের অমূল্য শিক্ষাই ছিল, মানুষের প্রকৃত শান্তি সম্পদের মালিক হওয়ার মধ্যে নয়, বরং আল্লাহর ইবাদতে একান্ত মনোযোগী হতে। হজরত আয়েশা (রা.)-এর কাছে তিনি বলেছেন, “দরিদ্রদের সঙ্গে থাকো, তাদের ভালোবাসো, কারণ তারা কেয়ামত দিবসে প্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবে।”

আমাদের প্রিয় নবী (সা.)-এর মৃত্যু কালে তাঁর বাড়িতে মাত্র সাতটি স্বর্ণমুদ্রা ছিল। তবে তিনি সেই সোনালী সম্পদ গরিবদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁর অসিয়ত করে গেছেন, যাতে তাঁর জীবনের কোন প্রকার earthly সম্পদ সঙ্গী না হয়। প্রিয় নবী (সা.)-এর এই অমুখাপেক্ষিত জীবন ও শিক্ষা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে, যাতে আমরা পার্থিব সম্পদের প্রতি অনুরাগের পরিবর্তে আল্লাহর প্রতি একান্ত আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করতে পারি।


ভিসি/এসকে


পুরোনো সংখ্যা

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০৩১