বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় গণমাধ্যমে পরিচালিত অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশের ৫৩ জন বিশিষ্ট নাগরিক। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এসব গণমাধ্যমকে ভারতের উগ্র ডানপন্থী শাসক দল বিজেপির স্বার্থরক্ষাকারী বলে আখ্যায়িত করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, “আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এবং ভারতের সমর্থনে দেশে দীর্ঘদিন ধরে যে স্বৈরশাসন ও লুটপাট চলছিল, তা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে পরাজিত হয়েছে। এখন দেশের মানুষ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জাতীয় পুনর্গঠনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এই সময়ে ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরি এবং বিদেশি অপপ্রচার রুখে দাঁড়ানো প্রয়োজন।”
বিবৃতিদাতারা ভারতীয় গণমাধ্যমের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, “ভারতীয় ‘গদি মিডিয়া’ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে মিথ্যা তথ্য ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। বিশেষ করে, হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত ‘ক্র্যাকডাউন’ নিয়ে কল্পিত গল্প তৈরি করা হচ্ছে, যা হয় সম্পূর্ণ মিথ্যা, নয়তো বিভ্রান্তিমূলক। এ ধরনের প্রচারণার উদ্দেশ্য হলো দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করা, বিভাজন সৃষ্টি করা এবং জাতীয় পুনর্গঠন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “বাংলাদেশের শক্তি তার বৈচিত্র্যে। সম্প্রতি গণঅভ্যুত্থানে সব জাতিগোষ্ঠী, ধর্ম ও রাজনৈতিক মতের মানুষ একত্র হয়ে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়েছে। এই ঐক্যই আমাদের শক্তি, যা কোনো অপপ্রচার দিয়ে দমানো যাবে না।”
নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, “দেশে কিংবা বিদেশে, যেখানে থাকুন না কেন, বাংলাদেশবিরোধী এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। দেশের বৈচিত্র্য, সহনশীলতা ও জাতীয় ঐক্য রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন শহিদুল আলম, মোস্তফা নাজমুল মানসুর, লতিফুল ইসলাম, মারুফ মল্লিক, মিশায়েল আজিজ, শাহনাজ মুন্নী, সালাহ উদ্দিন শুভ্র, দীপক কুমার গোস্বামী, পারভেজ আলম, বীথি ঘোষসহ আরও অনেকে।
এই বিবৃতি বাংলাদেশে গণতন্ত্র, বৈচিত্র্য ও জাতীয় ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ভিসি/এএস
আপনার মতামত লিখুন :