স্ট্রোকের উপসর্গ চিনে দ্রুত ব্যবস্থা নিন


অনলাইন ডেস্ক
ডিসেম্বর ১২, ২০২৪ । ৫:২৫ অপরাহ্ণ
স্ট্রোকের উপসর্গ চিনে দ্রুত ব্যবস্থা নিন
সংগৃহীত ছবি

স্ট্রোক প্রতিরোধ ও প্রাথমিক ব্যবস্থা

স্ট্রোক একটি প্রতিরোধযোগ্য রোগ। এর লক্ষণগুলো দ্রুত শনাক্ত করতে বিশ্বব্যাপী ‘বি-ফাস্ট’ শব্দবন্ধটি ব্যবহৃত হয়। এই শব্দের প্রতিটি অক্ষর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ নির্দেশ করে:

  • B (Balance): হঠাৎ ভারসাম্য হারানো।
  • E (Eyes): হঠাৎ দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া।
  • F (Face): মুখের একপাশ বেঁকে যাওয়া।
  • A (Arms): একটি হাত দুর্বল হয়ে যাওয়া।
  • S (Speech): কথা জড়িয়ে আসা।
  • T (Time): লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া।

গৃহ পরিচর্যার গুরুত্বপূর্ণ দিক

স্ট্রোকের রোগীর বাড়িতে পরিচর্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্ট্রোকের পুনরাবৃত্তির ঝুঁকি থাকায় রোগীর স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও খাদ্যাভ্যাসে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। রোগীর জন্য নিয়মিত ফিজিওথেরাপি ও সঠিক পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে হবে। মুখে খাবার দিতে সমস্যা হলে নলের মাধ্যমে তরল খাদ্য দেওয়া যেতে পারে। দীর্ঘ শয্যাশায়ী অবস্থায় বেড সোর এড়াতে রোগীর অবস্থান বারবার পরিবর্তন করতে হবে।

চিকিৎসা ও সময়ের গুরুত্ব

স্ট্রোক দুই ধরনের—ইসকেমিক এবং হেমোরেজিক।

  1. ইসকেমিক স্ট্রোক: রক্তনালিতে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে হয়।
  2. হেমোরেজিক স্ট্রোক: রক্তনালি ফেটে মস্তিষ্কে রক্ত জমার কারণে হয়।

ইসকেমিক স্ট্রোকের আধুনিক চিকিৎসা স্ট্রোক থ্রম্বোলাইসিস। তবে এটি লক্ষণ দেখা দেওয়ার ৪ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের মধ্যে শুরু করতে হয়। সময়মতো চিকিৎসা না পেলে মস্তিষ্কের কোষগুলো নষ্ট হতে শুরু করে।

অপরিহার্য পরীক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা

স্ট্রোকের ক্ষেত্রে সিটি স্ক্যান ছাড়া চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব নয়। তাই এমন হাসপাতাল বেছে নিতে হবে যেখানে পরীক্ষা ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সুবিধা রয়েছে। প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান, সুতরাং লক্ষণ দেখা মাত্রই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।

স্ট্রোক প্রতিরোধ ও সঠিক সময়ে সেবা নিশ্চিত করে অনেক মূল্যবান জীবন রক্ষা করা সম্ভব।


ভিসি/এসকে


পুরোনো সংখ্যা

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১