ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন – ডা. শাহাদাত হোসেন
আফছার, চট্টগ্রাম
ডিসেম্বর ১২, ২০২৪ । ৬:২৬ অপরাহ্ণ
ফলো করুন-
সংগৃহীত ছবি
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিই সবচেয়ে কার্যকর উপায় বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ আয়োজিত ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক র্যালি ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। র্যালিটি মেমন হাসপাতাল থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জিপিও’র সামনে এসে শেষ হয়।
অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, “ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে সিটি করপোরেশনের প্রচেষ্টা একা যথেষ্ট নয়। প্রতিটি ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম তদারকি করা হচ্ছে, তবে স্থানীয় জনগণকেও সচেতন হতে হবে। এলাকাবাসীর দায়িত্ব হচ্ছে আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখা এবং ময়লা-আবর্জনা ও জমে থাকা পানি দ্রুত অপসারণ করা।”
তিনি আরও জানান, পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কার্যক্রম সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা তা তদারকি করতে প্রতিটি ওয়ার্ডে স্থানীয় কমিটি ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি জনগণকে পরিচ্ছন্নতা সুপারভাইজারদের কাছে অভিযোগ করার সুযোগ দেয়া হয়েছে।
ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়ার উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার আহ্বান জানান মেয়র। তিনি বলেন, “২-৩ দিনের বেশি জ্বর থাকলে অবহেলা না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আমাদের মেমন-২ হাসপাতালে ডেঙ্গু এন্টিজেন টেস্টসহ রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। কারো লক্ষণ থাকলে এখানে আসতে পারেন। অবহেলা করলে তা প্রাণঘাতী হতে পারে।”
মেয়র আরও বলেন, “গতকাল এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে শুধুমাত্র অবহেলার কারণে। ৩-৪ দিন জ্বর থাকার পরও হাসপাতালে না গিয়ে রোগীকে বিপদে ফেলা হয়েছে। তাই, জনগণকে আরও সচেতন হতে হবে। ডেঙ্গুর বর্তমান ভ্যারিয়েন্ট বেশি সংক্রামক, তাই আমাদের সতর্কতা বাড়াতে হবে। জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব।”
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার লক্ষণ ও চিকিৎসা
মেয়র জানান, চিকুনগুনিয়ার সাধারণ লক্ষণ হিসেবে জয়েন্টে ব্যথা এবং ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে শরীরের মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা ও র্যাশ দেখা যায়। এসব লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, ডা. এসএম সরোয়ার আলম, এবং মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী (মারুফ) উপস্থিত ছিলেন।
মশক নিধন কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করা হয়েছে এবং প্রতি সপ্তাহে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানান মেয়র। তিনি বলেন, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সফল করতে সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের এমন উদ্যোগ ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :