সয়াবিন তেল সংকটে ভোগান্তি, স্বস্তি সবজির বাজারে


অনলাইন ডেস্ক
ডিসেম্বর ৬, ২০২৪ । ১২:৪০ অপরাহ্ণ
সয়াবিন তেল সংকটে ভোগান্তি, স্বস্তি সবজির বাজারে
সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সঙ্কট নিয়ে ক্রেতারা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। একাধিক এলাকায় ঘুরেও তেল পাচ্ছেন না ক্রেতারা। কোথাও মিললেও দিতে হচ্ছে বোতলে নির্ধারিত দামের চেয়ে ১৫-২০ টাকা বেশি। সংকটের অজুহাতে এভাবে অতিরিক্ত দামে বিক্রির কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ।

মোহাম্মদপুরের গৃহিণী সাবিহা সুলতানা জানান, কয়েকটি দোকান ঘুরে গলির ছোট একটি দোকানে মাত্র একটি বোতল তেল পান, তাও বেশি দামে। তিনি বলেন, “সংকটের অজুহাতে প্রায়ই পণ্যের দাম বাড়ানো হয়। এতে আমরা সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ি। সরকারের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া।”

তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থী ইমরান মাহমুদ বলেন, “মেসে রান্নার জন্য তেল কিনতে গিয়ে প্রায় সব দোকানেই ‘তেল নেই’ শুনেছি। বাধ্য হয়ে ১৫ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হয়েছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে আমরা মধ্যবিত্ত ও ছাত্ররা কোথায় যাবো?”

রিকশাচালক মনু মিয়া জানান, “জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও আমাদের আয় বাড়ে না। এখন তেলও পাওয়া যাচ্ছে না, আর পেলেও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। আমাদের মতো গরিব মানুষেরা কী করবে?”

মোহাম্মদপুর, তেজতুরি বাজার, ফার্মগেটসহ রাজধানীর অন্যান্য এলাকায় বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ নেই বললেই চলে। বিক্রেতারা বলছেন, পরিবেশকদের কাছ থেকে তেল পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে দোকানিরা তেল ঢেলে খোলা সয়াবিন হিসেবে বেশি দামে বিক্রি করছেন।

সরকারি সংস্থা টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, এক লিটার খোলা সয়াবিন ১৬৫-১৬৮ টাকা এবং পাম তেল ১৫৮-১৫৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ভোক্তা অধিকার সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক মো. খলিলুর রহমান সজল জানান, কৃত্রিম সংকট তৈরি করে তেলের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা অযৌক্তিক। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন, নাহলে রমজানে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

তেলের বাজারে এমন সংকট থাকলেও সবজির দামে স্বস্তি দেখা যাচ্ছে। রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে মৌসুমী সবজির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম হাতের নাগালে।

একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতি পিস ৪০-৫০ টাকা, মুলা ৩০-৪০ টাকা, শালগম ৬০-৭০ টাকা, শিম ৬০-১০০ টাকা এবং টমেটো ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কম দামে সবজি কিনতে পেরে খুশি দিনমজুর আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, “সারা বছর এমন দামে সবজি পেলে আমাদের জন্য ভালো হতো। সরকারের কাছে অনুরোধ, সবজির বাজার যেন এভাবেই থাকে।”

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পণ্যের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি। একই সঙ্গে সবজির বাজারে এই স্বস্তি দীর্ঘস্থায়ী করার দিকেও মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।


ভিসি/এএস


পুরোনো সংখ্যা

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১