শীতকালীন স্বাস্থ্যরক্ষায় পেয়ারা: ঠান্ডা, ক্যানসার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধে অতুলনীয়


অনলাইন ডেস্ক
ডিসেম্বর ৫, ২০২৪ । ১:০৬ অপরাহ্ণ
শীতকালীন স্বাস্থ্যরক্ষায় পেয়ারা: ঠান্ডা, ক্যানসার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধে অতুলনীয়
সংগৃহীত ছবি

শীতের সময় সর্দি-কাশি বা ঠান্ডা লেগে যাওয়া খুবই সাধারণ সমস্যা। এই সময় স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেশীয় ফল পেয়ারা হতে পারে অন্যতম সঙ্গী। পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি ও আয়রন, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে শরীরকে শীতের ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়া এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, লাইকোপিনসহ নানা উপাদান, যা ক্যানসার, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।

পেয়ারা কাঁচা বা পাকা যেভাবেই খাওয়া হোক, এটি শরীরের জন্য সমান উপকারী। কাঁচা পেয়ারা কফ কমায়, পাতা ও বীজ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এতে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। পেয়ারার শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরকে ক্যানসারের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে, বিশেষত প্রোস্টেট ও স্তন ক্যানসারের ক্ষেত্রে।

পেয়ারার খাদ্যগুণ:
প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় রয়েছে ২২৮ মি.গ্রা. ভিটামিন সি, ৬৮ কিলোক্যালরি শক্তি, ৫.৪ গ্রাম ফাইবার, ১৪.৩ গ্রাম শর্করা, ০.২৬ মি.গ্রা. লৌহ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় খনিজ ও ভিটামিন। এর লাইকোপিন ও পলিফেনল হার্টের সুস্থতায় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে কার্যকর।

শুধু ফল নয়, পেয়ারা পাতার নির্যাস কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে এবং ইনফেকশন প্রতিরোধে সাহায্য করে। পেয়ারার বীজ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, হজমশক্তি বাড়াতে ও ওজন কমাতে উপকারী। এমনকি গর্ভবতী মায়েদের জন্য এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর, কারণ এতে থাকা ফলিক অ্যাসিড শিশুর স্নায়ুতন্ত্র গঠনে সহায়তা করে।

প্রতিদিন একটি পেয়ারা আপনার শরীরকে শুধু ঠান্ডাজনিত অসুখ থেকে রক্ষা করে না, বরং দীর্ঘমেয়াদি রোগ প্রতিরোধেও সহায়ক। তাই শীতকালে পেয়ারা খাওয়া অভ্যাস করুন, সুস্থ থাকুন।


ভিসি/এসকে


পুরোনো সংখ্যা

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১