বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন চিনি আমদানি করছে, যা আগামী মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছাবে। দীর্ঘ কয়েক দশক পর পাকিস্তানের সঙ্গে এই বিপুল পরিমাণ চিনি বাণিজ্য কার্যকর হচ্ছে। এতদিন চিনি আমদানির ক্ষেত্রে ভারতের ওপর নির্ভরশীল ছিল বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, করাচি বন্দর থেকে চিনি রপ্তানি করে এটি চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠানো হবে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের অনুমোদনের পর দেশটির চিনি শিল্প এ বছর প্রায় ৬ লাখ টন চিনি রপ্তানির চুক্তি করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও মধ্য এশিয়া, থাইল্যান্ড, উপসাগরীয় রাষ্ট্র ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে চিনি পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
থাইল্যান্ড পাকিস্তানের কাছ থেকে ৫০ হাজার টন চিনি কিনছে। মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে রপ্তানি হবে ৭০ হাজার টন। পাকিস্তানের চিনি ব্যবসায়ীদের কর্মকর্তা মজিদ মালিকের মতে, চিনি রপ্তানির মাধ্যমে দেশটি ৪০০-৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করবে।
চিনি রপ্তানি বর্তমানে পাকিস্তানের অন্যতম বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের খাত হিসেবে গুরুত্ব পাচ্ছে। ২ ডিসেম্বর থেকে পাকিস্তানের ৮০টিরও বেশি চিনিকল উৎপাদন শুরু করেছে। একইদিন আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির মূল্য প্রতি টনে ৫৩০ মার্কিন ডলারে পৌঁছায়।
পাকিস্তানের সঙ্গে এই চিনি বাণিজ্য বাংলাদেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের একটি নতুন দিক উন্মোচন করল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভিসি/এএস
আপনার মতামত লিখুন :