কলা একটি সহজলভ্য ও পুষ্টিকর ফল, যা সবার খাদ্য তালিকায় সহজেই জায়গা পায়। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম, ফাইবারসহ বিভিন্ন জরুরি পুষ্টি উপাদান। একটি মাঝারি মাপের কলা থেকে পাওয়া যায় প্রায় ৮৯ ক্যালোরি। তাই দ্রুত শক্তি জোগাতে কলা খাওয়ার পরামর্শ প্রায়ই দেওয়া হয়। তবে এই উপকারী ফলও যদি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয়, তবে তা শরীরের ক্ষতি করতে পারে।
১. ওজন বৃদ্ধি:
অতিরিক্ত কলা খাওয়ার ফলে ক্যালোরির পরিমাণ বেড়ে যায়, যা ধীরে ধীরে ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। যাদের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি, তাদের বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া বেশি পরিমাণে কলা খাওয়া উচিত নয়।
২. কোষ্ঠকাঠিন্য:
কলায় থাকা স্টার্চ অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। কনস্টিপেশন বা পাইলসের রোগীদের জন্য দিনে দুটির বেশি কলা খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে।
৩. পেটের সমস্যা:
কলার ফাইবার উপাদান হজম প্রক্রিয়ায় সহায়ক হলেও অতিরিক্ত ফাইবার শরীরে জমা হলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং অন্যান্য পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৪. রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি:
কলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স তুলনামূলকভাবে বেশি। ফলে অতিরিক্ত কলা খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। বিশেষত, ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এটি মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
৫. দাঁতের ক্ষতি:
কলায় প্রাকৃতিক চিনি রয়েছে যা বেশি খাওয়ার ফলে দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং ক্যাভিটির ঝুঁকি বাড়ে।
সুস্থ থাকার জন্য পরিমিত পরিমাণে কলা খান। প্রতিদিন দুই থেকে তিনটির বেশি কলা খাওয়া এড়িয়ে চলুন। যদি বিশেষ কোনো শারীরিক সমস্যায় ভুগে থাকেন, তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে খাদ্য তালিকায় কলার পরিমাণ নির্ধারণ করুন। অতিরিক্ততা এড়িয়ে সঠিক পরিমাপে খাওয়াই আপনাকে কলার পুষ্টিগুণের সর্বোচ্চ সুবিধা দিতে পারে।
ভিসি/এসকে
আপনার মতামত লিখুন :