শীতের আগমনী বার্তায় কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে লেপ-তোষক তৈরির ব্যস্ততা বেড়েছে। অগ্রহায়ণ মাসেই শীতের আমেজ টের পাওয়ায় উপজেলার প্রতিটি হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লায় লেপ-তোষকের চাহিদা বেড়ে গেছে। ফলে এসব পণ্যের দোকানগুলোতে কর্মচারীরা এখন দিন-রাত কাজ করছেন।
কটিয়াদী বাজারের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিদিন ১০-১৫টি লেপ ও তোষক তৈরি হচ্ছে। তুলা, কাপড়, ফোম এবং মজুরির দাম গত বছরের তুলনায় বেশি হওয়ায় ক্রেতারা কিছুটা হতাশ। তবু বেশি শীতের আগে প্রয়োজন মেটাতে ভিড় জমাচ্ছেন দোকানগুলোতে।
কটিয়াদী বাজারের ওমর বেডিং হাউজের সত্ত্বাধিকারী মো. নজরুল ইসলাম জানান, “শীত মাত্রই শুরু হয়েছে, এরই মধ্যে ভালো অর্ডার পাচ্ছি। তবে পণ্যের উচ্চমূল্যের কারণে অনেকেই ইচ্ছেমতো লেপ-তোষক বানাতে পারছেন না। প্রতিদিন ৫-৬ হাত মাপের লেপ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।”
লেপ-তোষক কারিগর মো. দ্বীন ইসলাম জানান, “আমি চার দশকেরও বেশি সময় ধরে এই কাজ করছি। শীত এলে আমাদের কাজ বেড়ে যায়, কিন্তু তুলা ও কাপড়ের দামের কারণে অনেক গ্রাহক কম অর্ডার দিচ্ছেন।”
কটিয়াদী বাজারে লেপ কিনতে আসা আবুল হোসেন বলেন, “শীত জেঁকে বসার আগেই লেপ বানিয়ে নিচ্ছি। তবে তুলা ও কারিগরের মজুরির দাম বেশি হওয়ায় দুটির জায়গায় একটি লেপ বানাচ্ছি।”
শিমুল তুলা থেকে লেপ তৈরির খরচ সম্পর্কে মনির বেডিং স্টোরের মো. মনির মিয়া জানান, “একটি বালিশ ৮০০ টাকায় এবং ভালো মানের লেপ ১২০০-১৫০০ টাকায় তৈরি হচ্ছে। তোষক নিতে হলে খরচ ১৫০০-১৬০০ টাকার মধ্যে হয়।”
শীতের প্রস্তুতির পাশাপাশি গরম কাপড়ের দোকানগুলোতেও ভিড় জমতে শুরু করেছে। পাতলা জামার পরিবর্তে মোটা পোশাকের দিকে ঝুঁকছেন সবাই। পাশাপাশি কাঁথা, কম্বল, চাঁদর, মাফলার, হাতমোজা এবং শীতের টুপির চাহিদাও বেড়েছে।
কটিয়াদীতে শীতের প্রভাব পুরোপুরি বসার আগেই লেপ-তোষক কারিগর এবং বিক্রেতারা ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে জিনিসপত্রের দাম এবং ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত বিকল্প ব্যবস্থা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তারা।
ভিসি/এএস
আপনার মতামত লিখুন :