শীতের আগমনী বার্তা আসতেই বাজারে দেখা মিলেছে শীতের নানা পুষ্টিকর শাক-সবজির, যা শরীরের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে সহায়ক। এই তালিকায় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো বিটরুট। নিয়মিত বিটরুট বা এর রস গ্রহণ করলে শরীর সুস্থ ও সতেজ থাকে। বিটরুটের মূল অংশে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল, বিটা ক্যারোটিন ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বিটের ভূমিকা:
বর্তমান সময়ে স্মৃতিশক্তি দুর্বলতার সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। বিটের রস মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে স্মৃতিশক্তি উন্নত করে। তাই স্মৃতিভ্রমের সমস্যা দূর করতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় বিটের রস রাখা যেতে পারে।
ওজন কমাতে সহায়ক:
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে বিটের রস হতে পারে দারুণ একটি উপায়। বিট বিপাক ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে, যা ওজন দ্রুত কমাতে সাহায্য করে। ফ্যাট কমাতে সহায়ক হওয়ায় এটি ওজন কমাতে আগ্রহীদের জন্য সহজেই গ্রহণযোগ্য।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিট:
যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তারা বিটের রস পান করলে ভালো ফল পেতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে, বিটের রসে থাকা নাইট্রেট রক্তনালী প্রসারিত করে, যা রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।
কর্মশক্তি বাড়ায়:
২০১২ সালের এক গবেষণায় পাওয়া যায় যে বিটের রস শরীরে কর্মশক্তি বা স্ট্যামিনা বাড়ায়। প্লাজমা নাইট্রেটের মাত্রা বৃদ্ধি করে বিটের রস, যা শরীরচর্চা বা অন্যান্য কাজে শরীরকে অধিক সক্রিয় রাখে।
হার্ট ফেলিওর রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারিতা:
হার্ট ফেলিওর রোগীদের পেশির ক্ষমতা কমে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, বিটের রস পেশির ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই যেকোনো বয়সের মানুষ সহজেই বিটের রস গ্রহণ করতে পারেন।
নিয়মিত বিটের রস পান শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে, যা জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে কার্যকরী।
ভিসি/এসকে
আপনার মতামত লিখুন :