সরকার চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে সৌদি আরব, মরক্কো ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির জন্য ৯৮৪ কোটি ৩ লাখ টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে সৌদি আরবের কৃষি পুষ্টি কোম্পানি (সাবিক) থেকে ৬ষ্ঠ ও ৭ম লটের ৩০ হাজার মেট্রিক টন করে মোট ৬০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানি করা হবে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭১ কোটি ২৬ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে যথাক্রমে ৩৮২.৬৭ মার্কিন ডলার এবং ৩৭০.৮৩ মার্কিন ডলার।
এছাড়া, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ৭ম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের প্রস্তাবও অনুমোদন পেয়েছে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা। প্রতিটি মেট্রিক টনের মূল্য পড়বে ৩৫০.৭৫ মার্কিন ডলার।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে চুক্তির আওতায় ৮ম লটের ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৪১৫.০০ মার্কিন ডলার।
আরও একটি চুক্তির আওতায় ১ম লটের ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানি করা হবে, এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এখানে প্রতি মেট্রিক টনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪১৭.৫০ মার্কিন ডলার।
সেইসঙ্গে ৮ম লটের ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানি করা হবে মরক্কো থেকে, এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯৭.৫০ মার্কিন ডলার।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে সারের চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সারের মূল্যস্ফীতি রোধ এবং কৃষকের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এ উদ্যোগ সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভিসি/এএস
আপনার মতামত লিখুন :