মার্কিন সিনেটর মার্কো রুবিওকে পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফ্লোরিডায় জন্ম নেওয়া এই রাজনীতিবিদকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হলে, তিনি হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম লাতিনো শীর্ষ কূটনীতিক। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রয়টার্সের বরাতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
রুবিও, একজন শক্তিশালী পররাষ্ট্রনীতির সমর্থক, ট্রাম্পের সংক্ষিপ্ত তালিকায় সর্বাধিক কঠোর অবস্থান নেওয়া প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত। চীন, ইরান এবং কিউবার মতো ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে তিনি দীর্ঘদিন ধরে কঠোর নীতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে রুবিও তার অবস্থানকে ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে আরও মিলিয়েছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয়বহুল ও দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধ এড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেয়।
বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি ২০১৭ সালের চেয়ে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং এবং বিপজ্জনক। ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যে চলমান যুদ্ধ, চীনের সঙ্গে রাশিয়া ও ইরানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি—সবমিলিয়ে রুবিওর জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন এক কঠিন চ্যালেঞ্জ হতে পারে। বিশেষত ইউক্রেন সংকট তার এজেন্ডার শীর্ষে থাকবে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রুবিও ইউক্রেনকে রাশিয়ার সাথে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছানোর পরামর্শ দেন। এপ্রিলে ইউক্রেনের জন্য পাস হওয়া ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজের বিরোধিতাও করেছিলেন তিনি, যা তার অবস্থানের একটি বড় দিক তুলে ধরে।
সিনেটে শীর্ষ চীন-বিরোধী হিসেবে পরিচিত রুবিও, সেনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির সদস্য হিসেবে বাইডেন প্রশাসনের ওপর চাপ বজায় রেখেছেন এবং চীনা প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়ের মার্কিন বাজারে প্রবেশ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি কিউবার বর্তমান সরকারের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের বিরোধী ছিলেন তিনি, যা ট্রাম্পের মনোভাবের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
রুবিও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হলে, যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক ব্যবস্থায় নতুন এক ধারা আসতে পারে।
ভিসি/এসকে
আপনার মতামত লিখুন :