বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশে বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক খেলা চলছে। যারা এই খেলায় জড়িত, তারা বিএনপির প্রকৃত শক্তি অনুধাবন করতে ব্যর্থ।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের ইনস্টিটিউশন অফ ইঞ্জিনিয়ার্সে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আলোচনাসভা, পেশাজীবী সমাবেশ এবং নবনির্বাচিত মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, বিএনপিকে ক্ষমতার বাইরে রাখার জন্য অনেক চেষ্টার পরও জনগণের সমর্থনে বিএনপি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপির ওপর বিভিন্ন চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করা হয়েছে—গুম, খুন, মিথ্যা মামলা, কিন্তু এর মধ্যেও বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাদের অবস্থান থেকে সরেনি। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানও বিচলিত হননি।
আমীর খসরু বলেন, সাতই নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে অনেকটা দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনের দিন হিসেবে দেখা হয়। স্বাধীনতার পর বিভিন্ন দমনমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে একদলীয় শাসন কায়েম করা হয়েছিল, যার ফলে দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুন্ন হয়েছিল। তবে সাতই নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্খা ও ভাবনাকে পুনরুজ্জীবিত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংস্কার করলে বিএনপির আপত্তি নেই। তবে যেসব বিষয়ে ঐক্যমত হবে না, সেগুলো জনগণের ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। সংসদে অনুমোদনের আগে জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে দশটি সংস্কার করা সম্ভব হলে বিএনপি তাতে রাজি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, এবং সঞ্চালনায় ছিলেন ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী ও ইঞ্জিনিয়ার জানে আলম সেলিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দীন চৌধুরী, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. নসরুল কদির, ড্যাব চমেক শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়, এবং ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ ও জুলাই বিপ্লব ২০২৪ এর উপর নির্মিত ডকুমেন্টারি শর্টফিল্ম প্রদর্শনী করা হয়।
ভিসি/এএস
আপনার মতামত লিখুন :