খাবারের স্বাদ বাড়ানো এবং শরীরের জন্য উপকারী এক সবজি টমেটো। কাঁচা বা রান্না করে খাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন পুষ্টিগুণের কারণে এটি স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সারা বছরই পাওয়া যায় টমেটো, যা কেবলমাত্র রান্নার কাজে নয়, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এমনকি দেশের চাহিদা মিটিয়ে এর রপ্তানি থেকেও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে।
টমেটো গাছের বৈজ্ঞানিক নাম সলানাম লাইকোপারসিকাম, এবং এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন ‘সি’ এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। টমেটো খেলে শরীরে রক্তের লোহিত কণিকা বৃদ্ধি পায়, যা রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে। এটি চোখ, ত্বক এবং হাড়ের যত্নেও কার্যকরী। ভিটামিন ‘এ’-এর কারণে এটি চোখের দৃষ্টিশক্তি রক্ষায় সহায়তা করে, আর এতে থাকা লাইকোপেন ত্বককে সূর্যের ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, টমেটোতে থাকা লাইকোপেন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। বিশেষ করে প্রস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধে লাইকোপেন বিশেষ ভূমিকা পালন করে। লাল টমেটোতে এই উপাদান বেশি পাওয়া যায়, যা পুরুষের শরীরের জন্য বিশেষভাবে উপকারী বলে বিবেচিত।
প্রতি ১০০ গ্রাম টমেটোতে রয়েছে ২০ কিলোক্যালরি শক্তি, ০.৯ গ্রাম আমিষ, ৩.৬ গ্রাম শর্করা এবং ২৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’। তাছাড়া টমেটোতে লবণ, পটাশ, লৌহ, এবং ম্যাঙ্গানিজের পরিমাণও উল্লেখযোগ্য। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও এটি উপকারী, কারণ এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ত্বকের যত্নে টমেটোর ভূমিকা অপরিসীম। নিয়মিত টমেটো বা এর রস খেলে ত্বক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল থাকে এবং বলিরেখার সমস্যা কমে যায়। তৈলাক্ত ত্বকের প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবেও টমেটোর রস কার্যকর।
দুটি টমেটো ধুয়ে টুকরো করে ব্লেন্ডারে পানি দিয়ে ঘুরিয়ে নিন। ছেঁকে নিয়ে সামান্য লবণ মিশিয়ে পুষ্টিকর ও সুস্বাদু টমেটোর রস পান করতে পারেন।
ভিসি/এসকে
আপনার মতামত লিখুন :