বহুদিন পর বৃষ্টি শুরু হয়েছে, এবং ঝুমঝুম বৃষ্টিতে বাইরে বেরোনো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সেই সময়টাতে একটি মাছি ও একটি মশা, ঘরের কোণে বসে, বৃষ্টির শব্দের মধ্যে গল্পের খোঁজে মগ্ন হয়ে পড়েছিল।
মাছি: তুমি কখনো ভূত দেখেছ?
মশা: হ্যাঁ, কত বার!
মাছি: মিছা কথা বলছো। ভূত বলে কিছুই নেই।
মশা: তুমি বুঝতে পারছো না। কারণ, তুমি রাতের অন্ধকারে কিছু দেখতে পারো না। ভূত তো আলোয় আসে না!
মাছির হাসি হেসে ওঠে। মশার কথা শুনে তার মনে কিছুটা আগ্রহ জাগে।
মাছি: ভূত আসলে কেমন? তারা খায় কী?
মশা: ভূত মানুষের মতো নয়; তারা ছায়ার মতো। তাদের প্রধান খাবার হলো কেঁচো। ভূতের জীবন দুর্বিষহ। আলোর কারণে তারা স্থির থাকতে পারে না, সারাক্ষণ ছোটাছুটি করে।
মাছি অবাক হয়ে প্রশ্ন করে, “তাহলে মানুষ ভূতকে কেন ভয় পায়?”
মশা: মানুষ অযথা ভয় পায়। ভূত কখনো ভালো মানুষের ক্ষতি করতে পারে না। তারা শুধুমাত্র খারাপ মানুষের উপরে ভয় দেখায়।
মাছির মধ্যে আগ্রহ বাড়তে থাকে। সে জানতে চায়, “তুমি এসব কীভাবে জানলে?”
মশা: আমাদের মাঝে নিয়মিত আলোচনা হয়। ভূতেরা আমাদেরকে তাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা বলে। তারা খারাপ মানুষদের শাস্তি ভোগ করে, কেঁচো খেয়ে বেঁচে থাকে।
মাছি: আমি তো এসব জানতাম না!
মাছির কাছে মশার কথা গুরুত্ব পায়। সে ভাবতে থাকে, “আমরাও কি কিছু করতে পারি মানুষের জন্য?”
মশা: কিভাবে?
মাছি: যদি আমরা মানুষের খাবারের ওপর বসে মলমূত্র ত্যাগ করি, তাহলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়বে। এতে করে খাবার ঢেকে রাখতে বাধ্য হবে।
মশা: কিন্তু এতে মানুষের কী উপকার হবে?
মাছি: মানুষ শিক্ষা নিতে পারবে। খাবার খোলা রাখলে বিপদ আসবে, এভাবে তারা আমাদের ভাষা বুঝতে শিখবে।
মশা: দারুণ পরিকল্পনা! তবে ভুল কিছু যেন না হয়।
মাছি ও মশা একসাথে সিদ্ধান্ত নিল, তাদের উদ্যোগ মানুষের মঙ্গল কামনায় নিবেদিত হবে। তারা দুজনেই আশা করে, একদিন মানুষ সত্যি বুঝতে পারবে, এবং নিজেদের আচরণে পরিবর্তন আনবে।
ভিসি/এসকে
আপনার মতামত লিখুন :