আনারস শুধুমাত্র সুস্বাদু ফল নয়, এটি একটি বহুবিধ ভেষজ গুণসম্পন্ন ফল। ঋতু পরিবর্তনের সময়, যখন রোগ-সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে, এই ফল আমাদের শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা শরীরকে ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। ডেঙ্গু ও অন্যান্য রোগ মোকাবিলায় আনারস বেশ কার্যকর।
তবে আনারসের উল্লেখযোগ্য উপকারিতা এর ভেষজ ক্ষমতায়। বিশেষ করে কিডনিতে পাথর সৃষ্টির ঝুঁকি কমাতে এর গুরুত্ব অপরিসীম। আনারসে বিদ্যমান পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি কিডনির পাথর প্রতিরোধে সাহায্য করে। নিয়মিত আনারস খেলে কিডনি ভালো থাকে এবং এর প্রাকৃতিক উপাদানগুলো কিডনির সুরক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখে।
এছাড়াও ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আনারস অত্যন্ত সহায়ক। এতে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকায় এবং উচ্চ মাত্রায় আঁশ থাকার কারণে এটি সহজেই ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যারা দ্রুত ওজন কমাতে চান, তাদের খাদ্যতালিকায় আনারস রাখা উচিত।
আনারস হজমশক্তি বাড়াতে সহায়ক ব্রোমেলিন এনজাইম রয়েছে, যা খাবার হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। পাশাপাশি, এতে থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাংগানিজ হাড়ের সুস্থতায় সাহায্য করে, এবং চোখের যত্নেও বিশেষভাবে উপকারী।
তবে গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়া সম্পর্কে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। কাঁচা আনারস খেলে শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, তাই যেকোনো সমস্যায় বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সর্বোপরি, আনারস শুধু একটি সুস্বাদু ফলই নয়, এটি স্বাস্থ্য রক্ষায় একটি মহৌষধ।
ভিসি/এসকে
আপনার মতামত লিখুন :