প্রাচীন প্রবাদে বলা হয়, “প্রতিদিন একটি আপেল খেলে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না।” আপেলের এই বিশেষ উপকারিতার পেছনে রয়েছে এর পুষ্টিকর উপাদানসমূহ। আপেল শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী, কারণ এতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার। এ কারণে গবেষকরা প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়ার পরামর্শ দেন, যা গণস্বাস্থ্য পরিবর্তন করতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন ৬৬ গ্রাম আপেল খেলে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ২৫ শতাংশ কমে যায়। আপেলে থাকা পেকটিন অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং পাচনতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখে। সকালবেলা আপেল খেলে হজমক্রিয়া বাড়ে, ওজন কমে, এবং অন্ত্রের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া, আপেল খেলে ক্যানসার, হার্টের অসুখ, লিভারের সমস্যাসহ আরও অনেক রোগের ঝুঁকি কমে।
ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় জানা যায়, যারা প্রতিদিন একটি আস্ত আপেল খান, তাদের মধ্যে হাঁপানির তীব্রতা অনেকাংশে কমে। পুষ্টিবিদদের মতে, খোসাসহ আপেল খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়, কারণ আপেলের খোসায় রয়েছে প্রচুর আঁশ ও পুষ্টি। তবে, জুস করে খেলে এর উপকারিতা কমে যায়, বরং সুগারের মাত্রা বেড়ে ওজনও বাড়তে পারে।
আপেলের মধ্যে ফাইবার ও পানির ভাণ্ডার থাকার কারণে এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখে, যা খিদে কমায় এবং আজেবাজে খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমায়। নিয়মিত আপেল খাওয়ার ফলে এক মাসের মধ্যেই ওজন কমানোর সুফল পাওয়া যায়।
ভিসি/এসকে
আপনার মতামত লিখুন :