অগ্নিকাণ্ড বা দুর্ঘটনা কোনো পূর্ব ঘোষণা দিয়ে আসে না। যেকোনো মুহূর্তে এমন দুর্যোগ ঘটতে পারে, যা মানুষের প্রাণের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। তাই কোনো স্থানে আগুন লাগলে যারা সেখানে উপস্থিত থাকবেন, তাদের উচিত হবে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং আগুন নেভানোর প্রচেষ্টা চালানোর পাশাপাশি আল্লাহকে স্মরণ করা ও বিশেষ দোয়া পড়া।
হাদিস অনুযায়ী, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “তোমরা যখন কোথাও আগুন দেখো, তখন তাকবির দাও, কেননা তাকবির আগুন নিভিয়ে দেয়” (তাবরানি: ১/৩০৭)। তাকবিরের বাক্য হলো: আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, অর্থাৎ আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান। ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেছেন, “যত বড় আগুনই হোক না কেন, তাকবিরের মাধ্যমে তা নিভে যেতে পারে, আর আজানের মাধ্যমে শয়তান পালায়” (আল-ফাতাওয়া আল-কুবরা: ৫/১৮৮)।
এছাড়াও পবিত্র কুরআনের একটি আয়াত রয়েছে, যা পড়লে আগুনের ক্রিয়া শীতল হয়ে আসে। মহান আল্লাহ তায়ালা হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে আগুনের শিখা থেকে রক্ষা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। আল্লাহর সেই বাণী ছিল, ইয়া না-রু কু-নি বারদান ওয়া সালামান আলা ইবরাহিম, অর্থাৎ “হে আগুন! তুমি ইবরাহিমের জন্য শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও” (সুরা আম্বিয়া: ৬৯)।
যেকোনো দুর্যোগ বা অগ্নিকাণ্ডের সময় এই দোয়া ও তাকবির পাঠ করলে তা আল্লাহর সাহায্যের মাধ্যম হিসেবে কাজ করতে পারে।
ভিসি/এসকে
আপনার মতামত লিখুন :