পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হলে আল্লাহর রহমত অপরিহার্য। মুমিনের জীবন আল্লাহর রহমতের আশায় উদ্দীপ্ত হয়, আর সেই রহমতই তাকে বাঁচিয়ে রাখে। আল্লাহ কখনোই তাঁর বান্দাদের হতাশ হতে দেন না। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘কেবল কাফেররাই আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়’ (সুরা ইউসুফ : ৮৭)। আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশা মানুষকে বিভ্রান্ত করে, জীবনের সঠিক পথ থেকে সরিয়ে দেয়।
আল্লাহ কুরআন ও হাদিসে যাদের সঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং যাদের তিনি তাঁর রহমত দ্বারা সিক্ত করেন, তারা হলো:
১. আল্লাহভীরু ও দয়ালু ব্যক্তিরা:
আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাদের সঙ্গে আছেন যারা আল্লাহভীরু ও দয়াশীল।’ (সুরা নাহল : ১২৮)
২. আল্লাহর পথে আহ্বানকারী:
যারা মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করেন, আল্লাহ তাদের সঙ্গেও থাকেন। যেমন মুসা ও হারুন (আ.)-কে ফেরাউনের কাছে দাওয়াত দেওয়ার সময় আল্লাহ বলেছিলেন, ‘তোমরা ভয় পেয়ো না, আমি তোমাদের সঙ্গে আছি।’ (সুরা তাহা : ৪৬)
৩. বিপদগ্রস্ত মুমিন:
বিপদের মুহূর্তে আল্লাহ মুমিনদের পাশে থাকেন। যেমন মুসা (আ.) বলেছিলেন, ‘আমার প্রভু আমার সঙ্গে আছেন, তিনি আমাকে পথ দেখাবেন।’ (সুরা শুরা : ৬২)
৪. আল্লাহর পথে হিজরতকারী:
হিজরতের সময় মহানবী (সা.)-কে আল্লাহ তাঁর সঙ্গ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কুরআনে উল্লেখ রয়েছে, ‘বিষণ্ন হয়ো না, আল্লাহ আমাদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা তওবা : ৪০)
৫. ধৈর্যশীল ব্যক্তি:
যারা বিপদের মধ্যে ধৈর্য ধারণ করে, আল্লাহ তাদের সঙ্গে থাকেন। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা বাকারা : ১৫৩)
৬. আল্লাহকে অন্তরে ভয় করা ব্যক্তি:
যারা আল্লাহকে যথাযথভাবে ভয় করে এবং তাঁর বিধান মেনে চলে, আল্লাহ তাদের সঙ্গী হন। হাদিসে বলা হয়েছে, আল্লাহ যাদের সঙ্গী হন, তাদের সঙ্গী হয় এমন ফেরেশতা, যাদের পরাজিত করা যায় না। (জামিউল উলুম ওয়াল হিকাম : ২০/১৪)
আল্লাহর রহমতপ্রাপ্ত হওয়া মানে তাঁর সাহায্য ও অনুগ্রহ পাওয়া, যা মুমিনের জীবনের মূল চালিকাশক্তি।
আপনার মতামত লিখুন :