সর্বশেষ :

সবুজে ঘেরা কাশীপুরের সহজ জীবন


শারমীন আক্তার
সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪ । ৬:২০ অপরাহ্ণ
সবুজে ঘেরা কাশীপুরের সহজ জীবন
সংগৃহীত ছবি

কাশীপুর নামে ছোট্ট একটি গ্রাম। গ্রামটি সবুজ শ্যামল প্রাকৃতিক পরিবেশে ভরপুর। চারিদিকে সবুজ গাছপালার নতুন নতুন পত্রপল্লব গ্রামটিকে ছায়া দিয়ে রেখেছে এক নিবিড় স্নেহভরে। চারিদিকে সবুজের সমারোহ আর পাখ পাখালির কিচির মিচির ডাকে মুখরিত গাঁ খানি। শহরের কোলাহল একেবারে নেই বললেই চলে। মানুষগুলো একেবারেই সাদামাটা। নেই কোন আভিজাত্যের ছোঁয়া আছে শুধু সরলতা আর সহজতা।

 

একদিক দিয়ে বেশ ভালোই বলা যায় কারণ শহরের চাকচিক্য ইটের পাজরে লোহায় খাঁচায় বন্দী মানুষগুলোর শরীরে রক্ত মাংস থাকলেও মনটা কেমন যেন মরে যায়। গ্রামের সকল মানুষের সাথে এক ধরনের আত্নার বন্ধন যা কখনো ভোলা যায় না।

 

আঁকাবাঁকা মেঠো পথ ধরে হাঁটছি আর হাঁটছি মনে হচ্ছে অনাদিকালের পথে ছুটে চলেছি কতো দিনের ক্লান্ত মনটা এক অতৃপ্ত ভালোলাগায় পরিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। মাথার উপরে সুনীল আকাশ চারিপাশে ধানখেত এক মৃদুমন্দ হাওয়া এসে আমার মন টাকে প্রশান্ত করে দিচ্ছে। পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে রুপসা নদী। সূর্যের রশ্নি নদীর জলের উপরে পড়ে চিকচিক করে উঠছে রুপালী ইলিশের মতোন। কিছুক্ষণ থেমে নদীর জলে পা দুখানি ভিজাতে আমার মানসপটে ভেসে আসলো শৈশবের সেই দিনগুলো কতোই না মুখরিত ছিলো সেই শৈশব। নদীতে সাঁতার কাটা, গামছার দুপাশ দিয়ে দুজন ধরে চিংড়ি মাছ ধরা সখীদের সনে।

 

ভাবতে ভাবতেই দুরে নদীর ওপারে ঘাটে নাওটা বাঁধা আছে ঠিক আগের মতোই। ওপারে মাঠ পেরোলেই একটি বসতি দেখা যায় সেই বাড়ির মুরব্বি বাদশা কানাই। একসময় বেশ প্রভাব ছিলো। এখন বয়সের ভারে অনেকটা ছোটো হয়ে গিয়েছেন কিন্তুু তাঁর চোখদুটো চকচক করে যেনো বিশ্বস্ততা আর সত্যের প্রতি একনিষ্ঠ হাতিয়ার তিনি। তার চারটি ছেলে।

 

ছেলেরা জমিজমা আবাদ করে সেই সবজি মাথায় করে নাও পার হয়ে আসে কাশীপুর, সন্ধ্যা হলে সেই টাকা হিসাব করে ওখান থেকে দুপয়সা বাঁচিয়ে চা পান খেয়ে আবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। রাতের খাবার শেষে সকল ভায়েরা মিলে বাদশা কানাই এর কাছে হিসেব দিতে বসে। আর বাদশা কানাই এর বিবি পিঠের কাছে বসে পাখা দিয়ে হাওয়া করতে থাকে।

লেখক,

শারমীন আক্তার
সহকারী শিক্ষিকা
পাতেলডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।


ভিসি/এএস


পুরোনো সংখ্যা

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০