বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, দেশের সিস্টেমে ক্যান্সার ধরেছে, যা যত দ্রুত সম্ভব দূর করতে হবে এবং জনগণের ভোটের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকার গঠন করতে হবে। এজন্য দুইটি পদক্ষেপ জরুরি: প্রথমত, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধৈর্য্য ধরে সহযোগিতা করতে হবে, দ্বিতীয়ত, রাজনৈতিক দলাদলি ও মতভেদ থেকে কিছু সময়ের জন্য বিরত থেকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে আয়োজিত ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভায় সারজিস আলম এ পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, “আমরা যদি পূর্বের ভুল থেকে শিক্ষা না নিই, তাহলে আগামীর পরিস্থিতিও শেখ হাসিনা বা সালমান এফ রহমানের মতো হবে। গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীরা কোনো কর্তৃত্ব নয়, তারা একটি প্রেশার গ্রুপ। আমাদের কাজ অবশ্যই আইনের মধ্যে থেকে করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “২০২৪ সালের স্পিরিট ধরে রাখতে হলে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে বাঁচাতে হবে, বিশেষ করে মাদক ও সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার থেকে। শিক্ষিত, নীতি-নৈতিকতাসম্পন্ন এবং শৃঙ্খল তরুণ প্রজন্ম ছাড়া দেশের অগ্রগতি সম্ভব নয়।”
রংপুর বিভাগের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে সারজিস আলম বলেন, “বিগত সরকারগুলো তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি, অথচ পদ্মা সেতু ও রেল সেতু নির্মাণে বিপুল অর্থ ব্যয় করেছে। রংপুরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি।”
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন তরিকুল ইসলাম, রকিব মাসুদ, আবু সাঈদ লিয়ন ও আব্দুল মুনঈম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এস আই শাহিন, মিশু আলি সুহাসসহ আরও অনেক নেতা ও কর্মী।
ভিসি/এএস
আপনার মতামত লিখুন :