চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় নিলাম অনুষ্ঠিত হবে আগামী বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর)। এই নিলামে মার্সিডিজ বেঞ্জ, ল্যান্ড ক্রুজারসহ অন্তত ৪৬ ধরনের পণ্য নিলামে তোলা হবে। তবে বন্দরের বিভিন্ন শেডে জমে থাকা বিপুল পরিমাণ পণ্যের তুলনায় নিলামযোগ্য এই পণ্য সংখ্যা তুলনামূলকভাবে খুবই কম।
চট্টগ্রাম বন্দরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বন্দরের ইয়ার্ডে ২ হাজার ৭৬৮টি ২০ ফুট সাইজের এবং ৩ হাজার ১৭০টি ৪০ ফুট সাইজের কন্টেইনার রয়েছে, যেগুলো আমদানিকারকরা দীর্ঘদিন ধরে খালাস করেনি।
এছাড়াও ৭০ হাজার প্যাকেজ কার্গো, যার ওজন ৪ হাজার টন, এবং ৬ হাজার ৮৪৬ প্যাকেজ বাল্ক পণ্য, যার ওজন ৫ হাজার ৪৫০ টন, ইতোমধ্যেই নিলামের জন্য কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে বছরের পর বছর ধরে এসব পণ্য পড়ে থাকায় গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আসছে বলে অভিযোগ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, “বন্দরে বর্তমানে ৬ হাজারেরও বেশি কন্টেইনার রয়েছে। এছাড়া প্যাকেজ কার্গো ও বাল্ক কার্গোও আছে। নিলাম না হওয়ায় এগুলো ইয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।”
এই নিলামে ১৬ কোটি টাকা মূল্যের মার্সিডিজ বেঞ্চ, ৫ কোটি টাকা মূল্যের ল্যান্ড ক্রুজার, কোটি টাকা মূল্যের ডেনিম ফেব্রিক্স এবং ফ্লোর টাইলসসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করা হবে। আরও থাকছে কটন, সিনথেটিক ফেব্রিক্স, সোডিয়াম সালফেটসহ অন্যান্য কেমিকেল এবং আম, আপেল ও আনারসের জুস।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম জানান, “ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময় এসব পণ্য আমদানি করলেও খালাস না করায় বন্দরের স্থান দখল করে আছে। তাই এগুলো বাজেয়াপ্ত করে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা যে কোনো পণ্য চার দিন পর্যন্ত বিনা শুল্কে বন্দরের শেডে রাখার সুযোগ পান আমদানিকারকরা। এরপর প্রতি চার দিন অন্তর ২০ ফুট কন্টেইনারের জন্য ৬ মার্কিন ডলার এবং ৪০ ফুটের জন্য ১২ মার্কিন ডলার মাশুল আদায় করা হয়।
ভিসি/এএস
আপনার মতামত লিখুন :