বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আমতলী ও তালতলীতে টানা তিনদিনের ভারী বর্ষণ ও শনিবার রাতের ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ঝড়ের তাণ্ডবে অর্ধশতাধিক কাঁচাঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অসংখ্য গাছ উপড়ে পড়ে। এতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় আমতলী ও তালতলী উপজেলায় ২৩ ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে আমতলী পৌরশহরের পানি সরবরাহও বন্ধ থাকায় শহরবাসী চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।
শনিবার রাতে পৌর এলাকার সরকার পাড়ায় একটি ৬০ বছরের পুরানো রেন্ট্রি গাছ উপড়ে পড়ে একটি লাইব্রেরি ও ওষুধের দোকান সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে, এতে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া, আমতলী সরকারি কলেজ ও বিআরডিবি অফিসের পেছনেও অনেক গাছ উপড়ে পড়েছে।
উপজেলার টিয়াখালী, আরপাঙ্গাশিয়া বাজারসহ প্রায় ৩০টি স্থানে গাছ পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে।
পল্লী বিদ্যুৎ আমতলী জোনাল অফিসের জিএম সঞ্জয় রায় জানান, ৩০টি স্থানে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে এবং ১৫০-২০০ জায়গায় তারের উপর গাছ পড়েছে। যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
টানা তিনদিনের ভারী বর্ষণে আমতলী ও তালতলীর ২০টি গ্রামের মানুষ জলাবদ্ধতায় ভুগছে। তালতলী উপজেলার খোট্টার চর, সখিনা, নিন্দ্র, আমখোলা এবং আমতলী উপজেলার হলদিয়া, সোনাখালীসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। পাকা ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।
তালতলী ও আমতলী উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তারা জানান, ঝড়ে হাজার হাজার গাছ উপড়ে পড়েছে এবং অনেক কাঁচাঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভিসি/এএস
আপনার মতামত লিখুন :