রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে দুর্বলতা, নিঃশ্বাসে কষ্ট, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া এবং হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়ার মতো লক্ষণগুলো প্রধান। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তবে কিছু খাবার নিয়মিত খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি দূর করা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে:
প্রাণিজ প্রোটিন:
লাল মাংস রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর জন্য খুবই কার্যকরী। গরুর মাংস, খাসির মাংস এবং কলিজা আয়রনের ভালো উৎস। যাদের আয়রনের ঘাটতি আছে, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এসব খাবার নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। মুরগির মাংসও আয়রনের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করতে পারে।
ফলমূল:
ভিটামিন সি আয়রন শোষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লেবু, কমলা, আমের মতো সাইট্রাস জাতীয় ফলগুলো শরীরে আয়রন শোষণ করতে সাহায্য করে, যা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। এছাড়াও আপেল, বেদানা, পেয়ারা, স্ট্রবেরি, তরমুজের মতো ফল নিয়মিত খেলে উপকার পাওয়া যায়।
সামুদ্রিক মাছ:
সামুদ্রিক মাছ যেমন চিংড়ি, কাঁকড়া এবং অন্যান্য সামুদ্রিক খাবারে পর্যাপ্ত আয়রন ও খনিজ রয়েছে, যা রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সহায়তা করে। রক্তশূন্যতায় ভোগা ব্যক্তিদের জন্য এগুলো বেশ কার্যকর।
ডাল জাতীয় শস্য:
ছোলা, সয়াবিন, বিনজাতীয় খাবারে প্রচুর আয়রন থাকে, যা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সহায়ক। নিরামিষভোজীদের জন্য সয়াবিন একটি ভালো বিকল্প, যা শরীরের আয়রন চাহিদা পূরণে সাহায্য করে।
সবজি:
ব্রোকলি, আলু, কুমড়া, টমেটো, বিটরুটের মতো সবজি খেলে শরীরে আয়রন ও অন্যান্য ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হয়। নিয়মিত এসব সবজি খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ানো সম্ভব।
শস্য জাতীয় খাবার:
চাল, গম, বার্লি এবং ওটসের মতো শস্য জাতীয় খাবারে প্রচুর আয়রন ও কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিতে সহায়ক। বিশেষ করে লাল চালের ভাত খেলে রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।
ডিম:
ডিমে আয়রনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে, যা শরীরের দুর্বলতা কাটিয়ে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে। সেদ্ধ ডিম খেলে উপকার পাওয়া যায়।
উল্লেখিত এই খাবারগুলো রক্তে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি পূরণ করতে পারে এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
ভিসি/এসকে
আপনার মতামত লিখুন :