আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে অর্জুন গাছের ছালকে একটি অত্যন্ত শক্তিশালী ভেষজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রাচীনকাল থেকে এই ভেষজের উপকারিতা নিয়ে অনেক পরামর্শ দিয়ে আসছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা। অর্জুন ছালের মূল গুণ হল এর অসাধারণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ, যা দেহের সার্বিক সুরক্ষা নিশ্চিত করে এবং নানা কঠিন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
বর্তমান সময়ে হার্টের সমস্যা অনেকের মধ্যেই দেখা দিচ্ছে, বিশেষত তরুণদের মধ্যে। হার্টের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে অর্জুন গাছের ছাল দারুণ কার্যকরী। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত এই ভেষজ সেবন করলে হৃদযন্ত্রে রক্ত সঞ্চালন সঠিকভাবে বজায় থাকে, যা হার্টের কার্যকারিতা উন্নত করে।
হাই ব্লাড প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপ একটি ভয়াবহ সমস্যা, যা দেহের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের ক্ষতি করতে পারে। অর্জুন ছালে উপস্থিত বিশেষ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য অর্জুনের ছাল হতে পারে প্রাকৃতিক প্রতিষেধক।
দেহে অতিরিক্ত ইনফ্লামেশন বা প্রদাহ একাধিক দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অর্জুনের ছালে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহকে প্রশমিত করে শরীরকে সুস্থ রাখে। নিয়মিত এই ভেষজ সেবনে প্রদাহজনিত সমস্যা দূরে থাকে।
হাই ব্লাড সুগার বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি, কারণ এটি থেকে হৃদরোগ, কিডনি রোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগ হতে পারে। অর্জুন ছালে থাকা ট্যানিন, স্যাপোনিন, এবং ফ্ল্যাভানয়েডস রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা প্রতিদিন এই ভেষজ সেবন করলে দেহের শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক থাকবে।
অর্জুন ছালের ট্যানিন উপাদান ক্ষত দ্রুত সারাতে সক্ষম। কেটে-ছিঁড়ে গেলে অর্জুনের ছাল সেবন করলে ক্ষত দ্রুত শুকিয়ে যায় এবং ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের আশঙ্কা কমে যায়।
সুস্থ-সবল জীবনযাপনের জন্য অর্জুনের ছাল একটি চমৎকার ভেষজ যা প্রাকৃতিক উপায়ে বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধে সহায়ক।
ভিসি/এসকে
আপনার মতামত লিখুন :