হাশরের মাঠের ভয়াবহ পরিস্থিতি কল্পনা করাই কঠিন। সেই কঠিন দিনে মানুষ দিশেহারা হয়ে পরিত্রাণের পথ খুঁজবে। প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর সুপারিশই তখন হবে মুমিনদের জন্য আশার আলো। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) একবার বলেছিলেন, ‘কিয়ামতের দিনে আমি সব মানুষের সর্দার হব।’ নবীজি (সা.) আল্লাহর দরবারে কাঁদতে কাঁদতে উম্মতের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। আল্লাহ তাঁকে সেই সুপারিশের অধিকার দেবেন, যা মুমিনদের মুক্তির পথ সুগম করবে।
হাশরের ময়দানে নবীজির (সা.) পাঁচ শ্রেণির মানুষের জন্য সুপারিশ:
১. মানবজাতির জন্য বিচার শুরু করার সুপারিশ:
কিয়ামতের দিন মানুষের ধৈর্যচ্যুতি ঘটবে এবং তারা নবীদের কাছে বিচার শুরুর জন্য সুপারিশ চাইবে। তবে কেউ সক্ষম হবে না। তখন বিশ্বনবী মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর অনুমতিতে বিচার শুরুর জন্য সুপারিশ করবেন।
২. মুমিনদের হিসাব-নিকাশ ছাড়াই বেহেশতে প্রবেশের অনুমতি:
দ্বিতীয় সুপারিশ হবে প্রথম দরজার মুমিনদের জন্য। নবীজির (সা.) সুপারিশে তারা হিসাব-নিকাশ ছাড়াই জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পাবেন।
৩. জাহান্নামের উপযুক্ত ব্যক্তিদের মুক্তির জন্য সুপারিশ:
নবীজি (সা.) তৃতীয় সুপারিশ করবেন সেইসব মানুষের জন্য, যারা নিজেদের পাপের কারণে জাহান্নামে যাওয়ার উপযুক্ত হয়ে পড়েছে। তিনি তাদের ক্ষমা এবং মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবেন।
৪. জাহান্নামে থাকা গুনাহগারদের মুক্তি:
যারা ইতিমধ্যে জাহান্নামে প্রবেশ করেছে, নবী মুহাম্মাদ (সা.) এবং অন্যান্য নবী ও ফেরেশতারা তাদের মুক্তির জন্য সুপারিশ করবেন।
৫. বেহেশতিদের মর্যাদা বৃদ্ধির সুপারিশ:
নবীজির (সা.) শেষ সুপারিশ হবে জান্নাতে প্রবেশকারীদের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য। যারা জান্নাতে প্রবেশ করেছেন, তাদের আরও উচ্চ মর্যাদা পাওয়ার জন্য তিনি আল্লাহর কাছে আরজ পেশ করবেন।
হজরত আউফ বিন মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা তাকে দুটি প্রস্তাব দেন:
১. তাঁর অর্ধেক উম্মতকে বিনা হিসেবে বেহেশতে দেওয়া।
২. যেকোনো উম্মতের জন্য ইচ্ছামতো সুপারিশ করার ক্ষমতা।
নবীজি (সা.) দ্বিতীয় প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং জানিয়েছেন যে, তিনি মুশরিক ছাড়া সবার জন্য সুপারিশ করবেন।
আপনার মতামত লিখুন :