দেশের শিল্পাঞ্চলগুলোতে সরকার, মালিকপক্ষ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নজরদারির পরও শ্রমিক অসন্তোষ থামছে না। আশুলিয়ায় পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) হঠাৎ ৯০টি পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে অন্যান্য কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম জানান, সোমবার সকালে কিছু পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। এর পরপরই কারখানা কর্তৃপক্ষ ৯০টি কারখানায় বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দেয়।
তিনি আরও জানান, ছুটি ঘোষণা সত্ত্বেও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং র্যাব মোতায়েন রয়েছে।
এর আগে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) শ্রমিকদের বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে ৩০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে চলমান এই অস্থিরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পোশাক শিল্প মালিকরা। তারা মনে করছেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের তৈরি পোশাক খাতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, শ্রমিকদের ছদ্মবেশে কিছু গোষ্ঠী অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে, যা সহজেই অনুমান করা যায়।
বিকেএমইএ পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেলও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, পোশাক শিল্পে এই অস্থিরতার পেছনে দেশি ও বিদেশি শক্তির যোগসাজশ থাকতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই খাতে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক সরাসরি এবং প্রায় দুই কোটি মানুষ পরোক্ষভাবে জড়িত। এ শিল্প সংকটে পড়লে দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী এবং অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ভিসি/এএস
আপনার মতামত লিখুন :