সম্প্রতি দেশজুড়ে ব্যাপক বন্যা আঘাত হেনেছে, এবং এখন ১১ থেকে ১৩টি জেলা বিপর্যস্ত। এই বন্যার ফলে অসংখ্য বাড়ি ডুবে গেছে এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে মানুষ। যদিও এখন পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হয়েছে এবং বিভিন্ন অঞ্চলের পানি নেমে গেছে, তবে বন্যার পর স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বন্যার পানি পরিষ্কার হওয়ার পরও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বন্যার পানি বিভিন্ন রোগজীবাণু বহন করে যা ত্বক ও অন্যান্য শরীরের অংশে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। সুতরাং, বন্যার পানি থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন এবং এতে গোসল করা বা শরীরে লাগানো থেকে বিরত থাকুন।
বন্যা পরবর্তী সময়ে বাড়ি পরিষ্কার করার সময় গ্লাভস ও বুট ব্যবহার করুন। কারণ, বন্যার পানি শুকানোর পর পোকামাকড় ঘরে চলে আসতে পারে, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করুন। ভেজা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি থেকে দূরে থাকুন এবং বাড়িতে পৌঁছে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করার আগে সবকিছু ভালোভাবে পরীক্ষা করুন। একটি প্রফেশনাল ইলেকট্রিশিয়ান দিয়ে বৈদ্যুতিক সংযোগ পরীক্ষা করানো সবসময় উত্তম।
বন্যার পর ঘর ও আশপাশের এলাকা জীবাণুমুক্ত করতে জীবাণুনাশক উপাদান ব্যবহার করুন। ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে ঘর শুকিয়ে ফেলুন এবং পানি বিশুদ্ধ করার জন্য পানি বিশুদ্ধকরণ পদ্ধতি অনুসরণ করুন। যদি টিউবওয়েল ডুবে যায়, তাহলে ব্লিচিং পাউডারের মিশ্রণ ব্যবহার করে ডিসইনফেকশন করুন।
শিশুদের পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করুন, কারণ খাদ্যাভাবে শিশুরা দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। শিশুদের জন্য আলাদা খাবার রাখুন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বন্যার পর স্বাস্থ্য রক্ষায় আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ত্বক ও চোখের সংক্রমণ এড়াতে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং চোখ পরিষ্কার করা থেকে বিরত থাকা। পানিবাহিত রোগের লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন থাকুন এবং কোনো সমস্যায় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এই সব সতর্কতা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার মাধ্যমে বন্যার পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব, যাতে আপনার পরিবার সুস্থ ও নিরাপদ থাকে।
ভিসি/এসকে
আপনার মতামত লিখুন :