ইসলামে কথাবার্তায় কিছু বিশেষ শব্দের গুরুত্ব ও প্রয়োগ রয়েছে যা সামাজিক সম্পর্ক ও ব্যক্তিগত আচরণের মধ্যে সৌহার্দ্য ও শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ। এর মধ্যে ‘ইনশাআল্লাহ’ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শব্দ যা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হয়।
‘ইনশাআল্লাহ’ শব্দের অর্থ হচ্ছে “যদি আল্লাহ চান”। এটি শুধুমাত্র ভবিষ্যতে কোনো কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করতে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, কেউ যদি বলে, “আমি আগামী সপ্তাহে মক্কা যাবো”, তখন সঠিকভাবে বলা উচিত, “ইনশাআল্লাহ, আমি যাবো।”
তবে, অনেকেই ভুল করে ‘ইনশাআল্লাহ’ শব্দটি অন্য প্রসঙ্গে ব্যবহার করেন। যেমন, কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে, “আপনি কেমন আছেন?” এবং তার জবাবে বলা হয়, “ইনশাআল্লাহ ভালো আছি”, এটি ভুল। এ ক্ষেত্রে সঠিক উত্তরের জন্য ‘আলহামদুলিল্লাহ’ ব্যবহার করা উচিত, যার অর্থ “আল্লাহর প্রশংসা”।
ইসলামের বিভিন্ন হাদিস ও কোরআন আয়াতে ‘ইনশাআল্লাহ’ ব্যবহারের নির্দেশনা রয়েছে। হজরত মুসা (আ.) যখন খিজির (আ.)-এর কাছে সৃষ্টিজগতের গোপন রহস্য জানতে চাইলেন, তখন খিজির (আ.) তাঁকে বলেন যে, তাঁর ধৈর্যের অভাব হবে। এ সময় মুসা (আ.) উত্তর দেন, “ইনশাআল্লাহ, আপনি আমাকে ধৈর্যশীল হিসেবে পাবেন” (সুরা কাহাফ: ৬৭-৬৯)।
নবীজি (সা.)-কে ভবিষ্যৎ বিষয়গুলোতে ‘ইনশাআল্লাহ’ বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে (সুরা কাহাফ: ২৩-২৪)। এটি শুধুমাত্র ভবিষ্যতে কোন কাজ করতে গেলে ব্যবহৃত হয়, যা আমাদের আল্লাহর উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীলতা ও তাঁর ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানায়।
ইসলামে কথাবার্তায় সঠিক শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা আমাদের বিশ্বাস ও আচার-আচরণে শ্রদ্ধা ও দয়া প্রদর্শন করতে পারি। ‘ইনশাআল্লাহ’ শব্দের সঠিক ব্যবহার শিখে, আমরা ইসলামী শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রতি আমাদের সম্মান প্রদর্শন করতে পারি।
ভিসি/এসকে
আপনার মতামত লিখুন :