বাংলা চলচ্চিত্রের চিরসবুজ নায়ক সালমান শাহর ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯৬ সালের এই দিনে অসংখ্য ভক্তকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে চলে যান তিনি। তার আকস্মিক মৃত্যুর ফলে বাংলা চলচ্চিত্রের একটি উজ্জ্বল অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটে।
তবে সালমান শাহর মৃত্যুর এত বছর পেরিয়ে গেলেও, এর আসল কারণ আজও অজানা। এটি আত্মহত্যা, নাকি পরিকল্পিত হত্যা—এই প্রশ্নে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছে। তার পরিবার, বিশেষত মা নীলা চৌধুরী, বরাবরই ছেলের মৃত্যুকে আত্মহত্যা হিসেবে মানতে নারাজ এবং বারবার হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ তুলেছেন।
সালমান শাহ ছিলেন এমন এক নায়ক, যিনি তার ফ্যাশন সচেতনতা এবং অভিনয় দক্ষতার মাধ্যমে হয়ে উঠেছিলেন কালোত্তীর্ণ। তার জনপ্রিয়তা কোনো নির্দিষ্ট সময়ে আবদ্ধ নয়; মৃত্যুর এত বছর পরেও তিনি আজকের দর্শকদের কাছেও সমান প্রাসঙ্গিক।
১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটের দাড়িয়া পাড়ায় নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন সালমান শাহ। তার পিতা কমর উদ্দিন চৌধুরী এবং মাতা নীলা চৌধুরীর ঘরে জন্ম নেওয়া সালমানের আসল নাম ছিল শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। চলচ্চিত্র জীবনে ‘সালমান শাহ’ নামে পরিচিত হন এবং তার চার বছরের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে তিনি উপহার দেন ব্যবসাসফল ২৭টি চলচ্চিত্র।
সালমানের চলচ্চিত্র যাত্রা শুরু হয় সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরে, ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির মাধ্যমে। এ ছবিটি তাকে রাতারাতি তারকাখ্যাতি এনে দেয়। মৌসুমীর বিপরীতে তার অভিনীত আরও তিনটি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘স্নেহ’, এবং ‘দেনমোহর’। পরবর্তী সময়ে শাবনূরের সঙ্গে জুটি বেঁধে একাধিক সফল চলচ্চিত্র উপহার দেন, যার মধ্যে ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘তোমাকে চাই’, এবং ‘আনন্দ অশ্রু’ উল্লেখযোগ্য।
তার মৃত্যুর পর অনেক অসমাপ্ত চলচ্চিত্রও অন্য নায়কদের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। সালমান শাহর স্টাইলিশ উপস্থিতি এবং অভিনয়ের মাধুর্য আজও তাকে অপ্রতিদ্বন্দ্বী নায়ক হিসেবে ভক্তদের হৃদয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে।
ভিসি/এএস
আপনার মতামত লিখুন :