সর্বশেষ :

ধূমপান কি মানসিক চাপ কমায় নাকি বাড়ায়? বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টিভঙ্গি


অনলাইন ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৪ । ৯:২১ অপরাহ্ণ
ধূমপান কি মানসিক চাপ কমায় নাকি বাড়ায়? বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টিভঙ্গি

ধূমপান যে মানসিক চাপ কমায়, এটি অনেক ধূমপায়ীর বিশ্বাস। তারা মনে করেন, স্ট্রেস কাটানোর সহজ উপায় হলো সিগারেট। অফিসের চাপ, কাজের ক্লান্তি বা খাবারের পরে একটিমাত্র সিগারেট যেন স্বস্তির প্রতীক। কিন্তু বাস্তবে, ধূমপানের ফলে মানসিক চাপ আসলে কমে না, বরং দীর্ঘমেয়াদে এটি শরীর এবং মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, ধূমপান মস্তিষ্কের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ধূমপায়ীদের মধ্যে স্কিৎজোফেনিয়া হওয়ার ঝুঁকি ধূমপান না করা ব্যক্তিদের তুলনায় অন্তত পাঁচগুণ বেশি। এডিএইচডি রোগীদের মধ্যেও সিগারেট কোমরবিডিটি ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে, মানে এটি রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দেয়।

নিকোটিনে আসক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অ্যাংজাইটি, বাইপোলার ডিসঅর্ডার ও ডিপ্রেশনের ঝুঁকিও বেশি। কিছু গবেষণা বলছে, বাইপোলার রোগীদের ৩০-৭০ শতাংশই ধূমপায়ী, এবং অবসাদে ভোগা ব্যক্তিদের ৩০ শতাংশ নিয়মিত ধূমপান করেন। এসব রোগের সঙ্গে নিকোটিনের সম্পর্ক খুবই গভীর।

ধূমপানে মানসিক চাপ কি আসলেই কমে?

ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের মতে, ধূমপান আসলে মানসিক চাপ কমায় না। বরং নিকোটিন আসক্তির কারণে ধূমপায়ীরা স্বাভাবিক মেজাজ বজায় রাখতে সিগারেটের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। ধূমপানের মাধ্যমে শরীরে নিকোটিন প্রবেশ করলে কিছু সময়ের জন্য ডোপামিনের মাত্রা বেড়ে যায় এবং সাময়িকভাবে শিথিলতার অনুভূতি হতে পারে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এটি শরীরের উপর শারীরিক চাপ বাড়িয়ে দেয়।

ধূমপান ত্যাগের তিন মাস পর মস্তিষ্কে ডোপামিন নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে, এবং তখন মানসিক চাপ কমে যায়। সিগারেট আসলে মানসিক চাপ কমায় না, বরং তার অভাবেই স্ট্রেস ও বিরক্তি বাড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে, মুক্ত বাতাসে হাঁটাহাঁটি বা পরিবেশ বদল করে মানসিক প্রশান্তি অনেক ভালোভাবে পাওয়া যায়।


ভিসি/এসকে


পুরোনো সংখ্যা

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০