সর্বশেষ :

ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সহায়ক তিনটি সহজলভ্য খাবার


অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪ । ১:৪৯ অপরাহ্ণ
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সহায়ক তিনটি সহজলভ্য খাবার

ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে শরীরে বেশ কিছু অস্বস্তিকর উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে পায়ে ব্যথা, আঙুল বাঁকাতে অসুবিধা এবং ফোলা জয়েন্টগুলো অন্যতম। ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির কারণে রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের মতো জীবনধারাগত (লাইফস্টাইল) রোগের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। তাই, সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে এমন তিনটি সহজলভ্য খাবার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:

হলুদ:
প্রতিটি বাড়িতেই থাকা হলুদে কার্কিউমিন নামে একটি বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ থাকে, যা প্রদাহ বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এটি শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। গবেষণা অনুযায়ী, কার্কিউমিন ইউরিক অ্যাসিড উৎপাদনে জড়িত এনজাইম জ্যান্থাইন অক্সিডাইসকে বাধা দেয়, ফলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে থাকে। হলুদকে তরকারি, স্যুপ অথবা চা হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। এছাড়াও, স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের পরামর্শ নিয়ে হলুদের পরিপূরক গ্রহণ করা যেতে পারে।

বাদাম:
ব্রাজিল বাদাম, আখরোট, ম্যাকাডামিয়া বাদামসহ কিছু বাদামে পিউরিনের পরিমাণ কম থাকে, যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সহায়ক। ব্রাজিল বাদামে প্রতি কাপে মাত্র ৪০ মিলিগ্রাম পিউরিন থাকে। তবে রাস্তার সাধারণ বাদাম থেকে দূরে থাকা উচিত, কারণ এগুলোর পিউরিনের মাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে।

আনারস:
আনারস একটি সুস্বাদু গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ফল হওয়ার পাশাপাশি, ব্রোমেলাইন নামে একটি শক্তিশালী প্রদাহ-বিরোধী এনজাইমের সমৃদ্ধ উৎস। ব্রোমেলাইন প্রদাহ কমাতে এবং গাউটের লক্ষণগুলো উপশম করতে সাহায্য করে। এটি প্রোটিনকে ভেঙে হজমে সহায়তা করে এবং কিডনির কার্যকারিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখে। টাটকা আনারস আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ করলে স্বাদ এবং পুষ্টি দুইই বাড়াতে পারে।

এই তিনটি খাবার নিয়মিত খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ ও কার্যকর হতে পারে।

পুরোনো সংখ্যা

শনি রবি সোম মঙ্গল বু বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০