দেশে আওয়ামী লীগকে একটি আলাদা ধর্ম এবং বঙ্গবন্ধুকে ‘রাজনৈতিক নবী’ হিসেবে প্রতিষ্ঠার অভিযোগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি এ মন্তব্য করেন বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আন্দোলনের অন্যান্য সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়ক, যাদের মধ্যে সারজিস আলম ও আবু বাকের মজুমদার উল্লেখযোগ্য।
হাসনাত আব্দুল্লাহ অভিযোগ করেন, “বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ একটি আলাদা ধর্ম তৈরি করেছে। এই ধর্মের প্রভাব পোশাক থেকে খাবার পর্যন্ত সর্বত্র বিস্তৃত। বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিক নবী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যা আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে চালু রেখেছে।”
তিনি আরও বলেন, “১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর, আওয়ামী লীগের সংবিধানই দেশের সংবিধান হিসেবে প্রয়োগ করা হয়েছিল। যেকোনো যৌক্তিক দাবি করার চেষ্টাকে প্রতিহত করতে ট্যাগিং ও ব্লেমিং এর মাধ্যমে দমন করা হয়েছে। মুজিববাদকে জোরপূর্বক আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল।”
সংবাদ সম্মেলনে আরেক সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে ছাত্র আন্দোলনের ভূমিকা উল্লেখ করে বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তার জন্য আমরা কাজ করব, তবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি জানান, “যারা হত্যার সাথে জড়িত, তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের চিহ্নিত করার জন্য একটি টিম গঠন করা হচ্ছে। জনগণ যেভাবে চায়, সেভাবে গঠন হবে আগামীর বাংলাদেশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দেশব্যাপী পুনর্গঠিত হবে, যার উদ্দেশ্য হবে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির প্রতিরোধ।”
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সরকারের কোটা সংস্কার থেকে শুরু করে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার পতনের দাবিতে কাজ করে আসছে। এই আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সহিংসতায় নিহতদের স্মরণে এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক মাসপূর্তি উপলক্ষে ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচিরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
ভিসি/এএস
আপনার মতামত লিখুন :